বাঘ নাকি বাঘরোল? নদিয়ার হরিণঘাটায় রাত নামলেই আতঙ্ক
বনকর্মীদের অনুমান বাঘরোল, কিন্তু শনিবার থেকেই আতঙ্কে হরিণঘাটার এলাকাবাসী
বাঘ নাকি বাঘরোল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে বর্ণনা শুনে বনকর্মীদের অনুমান প্রাণীটি বাঘরোল। বাঘ (Royal Bengal Tiger) হতেই পারে না। কিন্তু মানুষের মনে তো আতঙ্ক। তা দূর করে কার সাধ্যি! সন্ধ্যে নামলেই গোটা এলাকা শুনসান। ব্যাঘ্র আতঙ্কে লোকজন কার্যত গৃহবন্দী। বনদফতর যাই বলুক, যদি বাঘ হয়! তাই এলাকার লোকের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ।
ঘটনাটি নদিয়ার (Nadia) হরিণঘাটার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের। শনিবার সন্ধ্যের দিকে পুকুরপাড়ে হলুদ ডোরাকাটা একটি প্রাণী দেখতে পান এলাকার লোকজন। ঝোঁপের আড়ালে ঘাপটি মেরে বসে আছে। ঠিক যেন শিকারের অপেক্ষায়। দেখেই তো এলাকাবাসীর আক্কেল গুড়ুম। মুহূর্তের মধ্যেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে বাঘের আতঙ্ক। ভয়ে, আতঙ্কে সকলেই ঘরমুখো। খবর যায় বনদফতরে। কিন্তু আর দেখা মেলেনি প্রাণীটির। এলাকাবাসীর বর্ণনা শুনে বনকর্মীদের অনুমান প্রাণীটি দক্ষিণরায় নয়, বাঘরোল জাতীয় কোন প্রাণী। কিন্তু মানুষের মনের ভয় যায় কী করে! রবিবার পর্যন্ত এলাকায় আতঙ্কের ছায়া।
স্থানীয় এক ব্যক্তির কথায়, অন্ধকারে ঝোঁপের মধ্যে প্রথম দেখা যায়। টর্চ এনে আলো ফেলতেই চলে গেল। আকারে ছোট, অনেকটা বাঘের বাচ্চার মতো। তবে বনকর্মীদের বক্তব্য, বাঘ হতেই পারে না। বাঘরোল অর্থাৎ মেছো বিড়াল জাতীয় প্রাণী। বনকর্মীরা তো বলেই খালাস, মানুষের আতঙ্ক কী আর এত সহজে যায়? এখনও হরিণঘাটার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লোকজন ব্যাঘ্র আতঙ্কে কাবু। সন্ধ্যে নামলেই গৃহবন্দী। না, আর দেখা মেলেনি, তবে মানুষের মনে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান বলছে গত কয়েক মাসে কেবল দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গেও দেখা মিলেছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের। বনদফতরের কর্মীরা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছেন। বাঘের গতিবিধি জানতে ব্যবহার করা হচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার। আর দক্ষিণবঙ্গে তো আছেই। বরং গত কয়েক বছরে তার সংখ্যা যথেষ্ট বেড়েছে। কিন্তু নদিয়ার হরিণঘাটার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। বাঘ নাকি বাঘরোল স্পষ্ট নয়, কিন্তু হলুদ ডোরাকাটায় মানুষের আতঙ্ক কী আর সহজে যায়!