'বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিল রেণু, তাই হাত কেটেছি' দাবি অভিযুক্ত স্বামী সরিফুলের
যদিও সরিফুলের কথা মানতে নারাজ এলাকার একাংশ
রেণু কাণ্ডে নয়া মোড়। স্ত্রী রেণুর চাকরি নিয়ে নাকি কোন আপত্তিই ছিল না স্বামী সরিফুল শের মহম্মদ শেখের। পুলিশি জেরায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সরিফুলের দাবি, রেণু বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। সরকারি চাকরি পেলে স্ত্রী আর তার থাকবে না, তাই এমন চরম সিদ্ধান্তের পথ বেছে নিয়েছিল সরিফুল। পুলিশের কাছে গোটা ঘটনা পুনঃনির্মাণের সময় এমনই দাবি করেছে সরিফুল। উল্লেখ্য, এর আগে আদালতেও এমন দাবি করেছিল সে। ফের আরও একবার এমনই দাবি করল সরিফুল। যদিও এলাকার লোকজন একথা মানতে নারাজ।
গতকাল সরিফুলের বাড়িতে ঘটনার পুনঃনির্মাণ করতে আসে পুলিশ। সঙ্গে ছিল সরিফুল-সহ আরও ৪ জন। তাদের আনা হয়েছিল সরিফুলের বাড়িতে। যে ঘরে তারা ঘটনাটি ঘটিয়েছিল, তা এতদিন ছিল বন্ধ। এখনও সেই ঘরে চাপ চাপ রক্তের দাগ। কীভাবে তারা এই কাজটি করেছিল, পুলিশের সামনে তা দেখানো হয়। আর সরিফুল দাবি করে, চাকরিতে আপত্তি একথা ঠিক নয়। সেরকম হলে এর আগে কেন সে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে চাকরির অনুমতি দেবে? তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। রেণুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই সে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে।
এদিকে কাটা হাত নিয়েও রেণু পিছিয়ে নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আনুকূল্যে রাণু চাকরি পেয়েছে। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে গেছে। তার লড়াই এখনও থামেনি। এক হাতেই জীবন যুদ্ধে জিততে মরিয়া রেণু। এমন কত শত রেণুর প্রতিনিধি হয়ে আগামীতে এগিয়ে যেতে চায় রেণু।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুর দিকে রেণুর বাপের বাড়ির লোকজনদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, শনিবার রাতে রেণু যখন ঘুমিয়ে ছিল, তখন তার স্বামী কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রেণুর উপর চড়াও হয়ে ওঠে। তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ চালায়। তাতে রেণুর ডানহাত কব্জি থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল। রেণুর চিৎকারে পাড়ার লোকজন দৌড়ে এলে তার স্বামী এবং বন্ধুরা চম্পট দেয়। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশের জালে সরিফুল এবং তার সাগরেদরা ধরা পড়ে।