Rampurhat Clash: রামপুরহাট কান্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট, আজকেই শুনানি
"যাহা বাহান্ন, তাহা তিপান্ন - বাহান্ন-তিপান্ন মিলেই নবান্ন" মহম্মদ সেলিম
কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও এখনও থমথমে রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই গ্রাম। এখনও ভস্মীভূত বাড়িগুলি থেকে পোড়া পোড়া গন্ধ। চারদিকে আতঙ্কের পরিবেশ। গোটা গ্রামটাই থমথমে। যত সময় এগোচ্ছে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোটা ঘটনায় এবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। অবিলম্বে তদন্ত করা উচিত। ১০ টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হল, ঘরবন্দি করে মানুষকে পুড়িয়ে মারা হল। এই ধরণের ঘটনা সিরিয়াস ক্রাইম। অবিলম্বে এই ঘটনার পেছনে কারা আছে তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া দরকার।
এদিকে পুলিশি প্রহরা টপকে পৌঁছে গেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Selim)। পৌঁছেই তিনি সংবাদমাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেন। তিনি বলেন, "ঘটনার তদন্ত হবে। সিট আসবে। কেউ যেন প্রমাণ নষ্ট না করতে পারে। প্রমাণ নষ্ট করতে পারবে শুধু সিট। সেই কারণেই সিট গঠন করা হয়েছে।" যেকোন ঘটনায় সিট গঠনকে কেন্দ্র করে রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তিনি একের পর এক অভিযোগ তোলেন। বলেন, "যাহা বাহান্ন, তাহা তিপান্ন - বাহান্ন-তিপান্ন মিলেই নবান্ন।"
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এলাকায় পৌঁছে গেছে ফরেন্সিক দল। গ্রামের থমথমে পরিবেশে গ্রামবাসীরা থাকতে ভয় পাচ্ছেন। তাই অনেকেই ইতিমধ্যেই গ্রাম ছেড়েছেন। তার মধ্যেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এলাকায় পৌঁছেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলতে থাকেন। তিনি এদিন বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিআইডি আর অমিত শাহের সিবিআইয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কাক কাকের মাংস খায় না। মমতা আর অমিত শাহ ঠিক করে দেন কী হবে।"