ভোটে হেরে গিয়েও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা! পরাজিত দলবদলুদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া নিয়েই কোন্দল বিজেপিতে
রাজ্য বিজেপির বহু নেতার দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসে থাকাকালীন যারা হেভিওয়েট ছিলেন তারাও বিজেপিতে এসে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়ে গেছেন
ভোটের আগে মুড়ি মুড়কির মত তৃণমূল নেতা বিজেপিতে আসতে শুরু করে দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যেই অনেকে আবার এবারের নির্বাচনে টিকিট পেয়েছেন। প্রাণহানির আশঙ্কা আছে, তাই দেখিয়ে অনেকে আবার ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের অনেকেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে নিয়েছেন, কিন্তু ভোটের ফলপ্রকাশের পরেই সমীকরণ অনেকটা পাল্টে গেছে, বহু দলবদলুই এবারে নির্বাচনে পরাজিত তৃণমূলের কাছে। তৃণমূলে থাকাকালীন অত্যন্ত হেভিওয়েট নেতাও এবারে বিজেপিতে গিয়ে হেরে ভূত হয়ে গেছেন। এই তালিকায় বেশ কিছু তারকা আছেন। আর এই নেতাদের সেন্ট্রাল সিকিউরিটি নিয়েও এবারে রাজ্য বিজেপির অন্দরে শুরু সমস্যা।
শুধু রাজ্য না, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পর্যন্ত এই সব নেতাদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নিতে চাইছেন। ৭৫ জন বিধায়ক এবং ১৮ জন সাংসদ আপাতত আছে বিজেপির হাতে। মুকুল, শুভেন্দু সহ আরো অনেক নেতা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। ভোটের পর থেকে ৬৬ জন বিজেপি বিধায়ককে দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা। কিন্তু যারা হেরে গিয়েছেন তাদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে বর্তমানে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন, কিছু কিছু পরাজিত নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক। তার পাশাপাশি যে সমস্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান তাদের নিরাপত্তা দিয়েছেন তাদেরকে জয়ী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হোক, এমনটাও বলেছেন অনেকেই।
একটা সময় ছিল যখন দলের নেতাদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়াই হতো না। ভোটের ঠিক আগে যখন হুরমুড়িয়ে বহু তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সেই সময় অনেকে আবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কেন্দ্রের নিরাপত্তা আদায় করে নেওয়ার একটা প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সেই সময় তাদের ওই দাবি মেনে নেওয়া হয়েছিল কারণ তারা ছিলেন তৃণমূলে থাকাকালীন অত্যন্ত হেভিওয়েট নেতা। কিন্তু পরবর্তীকালে দেখা গেছে এরকম অনেক নেতা ভোটে হেরে গিয়েছেন, পরবর্তীতে তারা আর রাজ্য বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না, দলের ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে তাদেরকে দেখা যাচ্ছে না। ফলে এরকম বেশ কিছু নেতার কেন্দ্রের নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার কথা উঠেছে বিজেপির অন্দরে।