ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা, চাকদহের পর কালনায় বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
বিজেপি কর্মীর রহস্য মৃত্যু, বাড়ির পাশের বাগানে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
রাজ্যে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে ভোট-পঞ্চমী। কিন্তু নির্বাচন শেষে রাজনৈতিক হিংসা যেন থামছেই না। গতকাল নদিয়ার চাকদহের পর আজ সকালে পূর্ব বর্ধমানের কালনায় বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূল খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে। যদিও তৃণমূলের দাবি এটা খুন নয় নিছকই আত্মহত্যা। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে আজ সকালে আসেন কালনা থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কালনার কল্যানপুরে বাড়ির পাশের এক বাগান থেকে অখিল প্রামাণিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর পরিবারের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই অখিলকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। পরিবার সূত্রে আরও খবর, গতকাল রাতেই অখিল বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজার পর সকালে দেখতে পান বাড়ির পাশের বাগানে তাঁর ঝুলন্ত দেহ। মৃত অখিলের ভাই দেবু প্রামাণিক অভিযোগ করেছেন, "বিজেপি করার কারণেই গত কয়েক দিন আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তার জেরেই আমার দাদাকে খুন করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই। " যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কালনা ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি প্রণব রায়ের দাবি, "এটা নিছকই আত্মহত্যা। ছেলেটি দীর্ঘদিন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। কখনও বিজেপির কোন মিটিং মিছিলে দেখিনি।" স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ উঠেছে, এটা আত্মহত্যা নয়। ঝুলন্ত অবস্থায় মাটিতে পা ঠেকে ছিল। মৃতদেহের কাছে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। এমন অবস্থায় কালনা থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে এলে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।
উল্লেখ্য, গতকালই নদিয়ার চাকদহে এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এবার আবার কালনায় হল। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা যে অব্যাহত, তা রাজনৈতিক বিশ্লেষক একাংশের মত।