স্কুলছুটদের স্কুলে ফেরাতে ব্যবস্থা নিক সরকার, জনস্বার্থ মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে
কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন
কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হলো আবার একটি নতুন জনস্বার্থ মামলা। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় এবারে স্কুলছুটদের ফের স্কুলে ফেরানোর দাবি নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, লকডাউনে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার কারণে অনেক পড়ুয়া পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে। তাদেরকে রীতিমতো বাধ্য হয়েই পড়াশোনা ছাড়তে হয়েছে বলে দাবি করলেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কারণেই তাদেরকে পুনরায় স্কুলমুখী করার ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার, দাবি ওই মামলাকারীর।
তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য রাজ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ সেটা তো আর নতুন করে বলার থাকে না। ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্লাস চালু থাকলেও মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের ব্যবস্থা অনেকের বাড়িতে নেই, তাই তারা পড়াশোনায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। এই কারণেই অনগ্রসর শ্রেণির অনেক পড়ুয়া ইতিমধ্যেই পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে, এবং কোনো না কোনো একটি কাজে যোগ দিয়েছে। ফলে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা যেরকম ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, সেরকম ভাবেই বৃদ্ধি পেয়েছে স্কুল ছুটের সংখ্যা। এই প্রসঙ্গে মামলাকারী দাবি করলেন, "পরিস্থিতি তাদেরকে ঐ অবস্থায় নিয়ে গিয়েছে। এইসব পড়ুয়াদের জন্য সরকারের থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি এখনও তাদের কাছে স্কুলছুটদের কোন পরিসংখ্যান নেই। অথচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার ফলে এই সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তাই এখন সরকারের উচিত তাদেরকে স্কুলমুখী করা।"
ইতিমধ্যেই মামলাটি গৃহীত হয়েছে হাইকোর্টে। আগামী ২১ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার কথা। করোনা ভাইরাসের কারণে যেখানে ২০২০ সাল থেকেই বারংবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের খবর উঠে আসছে, সেখানেই স্কুলছুটদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। কচিকাঁচারা স্কুলে যেতে পারছেনা, অনলাইনে পড়াশোনা করতে পারছে না অনেকেই। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খোলা হলেও বাকি সমস্ত শ্রেণীর জন্য স্কুলের দরজা এখনো পর্যন্ত বন্ধ। অতএব, শিশু শ্রমিকের সংখ্যা যে ক্রমশ বাড়তেই থাকবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।