পড়ুয়াদের স্বার্থে অভিনব উদ্যোগ, রায়গঞ্জে চালু হল 'নিজদ্বারে বিদ্যালয়’ কর্মসূচী
দুয়ারে যদি 'রেশন' যায়, দুয়ারে কেন 'শিক্ষক' নয়?
করোনা পরিস্থিতিতে অন্যান্য সমস্ত বিষয়ের মতো প্রভাব পড়েছে শিক্ষাব্যবস্থাতেও। প্রায় দেড় বছরের উপর বন্ধ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এবতাবস্থায় অভিনব উদ্যোগ নিলেন রায়গঞ্জ হরিহর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। রাজ্য সরকার প্রচলিত ‘দুয়ারে’ বিভিন্ন প্রকল্পের নকশায়, ছাত্রদের সুবিধার্থে নিজেদেরও উপস্থিত করলেন পড়ুয়াদের ‘দুয়ারে’। বিদ্যালয়ে সম্প্রতি শুরু হল অভিনব ‘নিজদ্বারে বিদ্যালয়’ কর্মসূচী।
করোনাকালে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বহু শিক্ষার্থী। তাঁদের সাহায্য করার অঙ্গীকার নিয়েই অভিনব এই কর্মসূচী চালু করলেন হরিহর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে আজ থেকে আগামী ১লা অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচী। এর মাধ্যমে প্রতিদিন শিক্ষকরা পৌঁছে যাবেন বিভিন্ন গ্রামে। সেখানে গিয়ে পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা সংক্রান্ত যাবতীয় পরামর্শ দেবেন। প্রতিশ্রুতিমতো, এদিন তাঁরা পৌঁছে যান রায়গঞ্জের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের মনুয়াগঞ্জ গ্রামে। সেখানে গিয়ে তাঁরা স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার বিষয়ে সাহায্য করেন।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনজিৎ পালের বক্তব্য, অতিমারির দরুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে পড়ুয়ারা। শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই বললেই চলে। এহেন পরিস্থিতিতে স্কুলছুটের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। সেজন্য সমস্ত দিক বিবেচনা করেই, পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই ‘নিজদ্বারে বিদ্যালয়’ কর্মসূচী।
সূত্রের খবর, এই কর্মসূচীর আওতায় আছে রায়গঞ্জের মনুয়াগঞ্জ, মৌলানিগছ, মোটাগছ, মেহেন্দিগছ, সহদইপাড়া, ক্ষেড়িপাড়া এবং জয়ন্তী কলোনি গ্রাম। সেখানের বাসিন্দা এমন বিভিন্ন পড়ুয়ার কাছে পৌঁছে গিয়ে তাদের পঠনপাঠনে সাহায্য করবেন শিক্ষকরা। প্রথম পর্যায়ে ১লা অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচী। আগামী দিনে এবিষয়ক আরও কর্মসূচী গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।