মধুচন্দ্রিমায় হিমাচলপ্রদেশে ঘুরতে গিয়ে খাদে পড়ে মৃত্যু হল আগরপাড়ার নববধূর
মর্মান্তিক ঘটনায় ভেঙে পড়েছে দুই পরিবারই
মধুচন্দ্রিমায় বাংলার নবদম্পতি ঘুরতে গিয়েছিলেন হিমাচলপ্রদেশ। যদিও আনন্দের সেই মুহূর্তই যে ডেকে আনবে জীবনের কাল, ঘুণাক্ষরেও তা টের পাননি নববধূ। পাহাড়ে সেলফি তুলতে গিয়ে নাকি খাদে পড়ে মৃত্যু (death) হয়েছে স্ত্রীর, এমনটাই দাবি করেছেন স্বামী। আকস্মিক এই দুর্ঘটনায় বিষাদগ্রস্ত দুই পরিবারই।
জানা গিয়েছে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আগরপাড়া নর্থ স্টেশন রোড এলাকার জয়িতা দাস এবং দমদমের পাইকপাড়ার রাহুল পোদ্দার। ৪ মার্চ তাঁরা মধুচন্দ্রিমায় হিমাচলপ্রদেশে যান। বেড়াতে যাওয়া থেকেই নিয়মিত পরিবারের লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নবদম্পতির।
যদিও এর মাঝেই ঘটে ছন্দপতন। শুক্রবার জয়িতার পরিবারের কাছে ফোন করে জানানো হয়, কিন্নরে খাদের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার সময় আচমকাই পা পিছলে খাদে পড়ে যান জয়িতা। প্রায় ৫০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নববধূর।
আচমকা এই মর্মান্তিক খবর পেয়ে শোকে ভেঙে পড়ে দুই পরিবার। তৎক্ষণাৎ কিন্নরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন নববধূর দিদি, জামাইবাবু, শশুর এবং ভাসুর। যত দ্রুত সম্ভব দেহ ফিরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন তাঁরা। তবে এর মাঝেই উঠেছে প্রশ্ন, আদৌ কি পা পিছলে খাদে পড়ে গিয়েছিল জয়িতা? নাকি এই দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে অন্য কোনো রহস্য! মেয়ের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের দাবি তুলেছেন জয়িতার পরিবার।