কালীপূজা নিয়ে নির্দেশিকা জারি বারাসাত পুলিশের, মেনে চললে মিলবে পুরস্কারও
দেখে নিন নয়া নির্দেশিকা
সামনেই আলোর উৎসব কালীপূজা। তবে গতবছরের মতো এবারেও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। দুর্গাপূজায় বিন্দুমাত্র সতর্কতা অবলম্বন করতে দেখা যায়নি রাজ্যবাসীকে। যার জেরে পুজোর পর একলাফে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের গ্রাফ। তবে কালীপূজা নিয়ে সতর্কতা অবলম্বনের খামতি নেই রাজ্যজুড়ে। আর তার মধ্যেই প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করল বারাসাত জেলা পুলিশ। বুধবার তাঁদের তরফ থেকে প্রকাশ করা হল আসন্ন কালীপূজার জন্য একগুচ্ছ নিয়মাবলী। তবে এর মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল, নির্দেশিকা মেনে চলা পুজা কমিটিগুলির জন্যে পুলিশের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে নগদ পুরস্কারেরও।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কোভিড সংক্রান্ত কি কি নিয়মাবলী ঘোষণা করা হয়েছে বারাসাত পুলিশের তরফ থেকে?
- প্যান্ডেল রাখতে হবে তিন দিক খোলা।
- প্রবেশ এবং বাইরের পথ আলাদা রাখতে হবে।
- দর্শনার্থী এবং মণ্ডপ চত্বরে থাকা প্রত্যেকের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
- মণ্ডপ সংলগ্ন এলাকায় রাখতে হবে স্যানিটাইজার।
- পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে যাতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়।
- কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
- পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন কাম্য।
- বিসর্জন এবং মণ্ডপে প্রতিমা আনার সময় কোনও শোভাযাত্রা করা যাবে না।
- পুজা মণ্ডপের আশেপাশে কোনও মেলা বা সারিবদ্ধ বিপণী করা যাবে না।
- শব্দবাজি এবং ফানুসের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
- পুজার আচারের সময় নুন্যতম উপস্থিতি কাম্য।
- কোভিড সংক্রান্ত নিয়মাবলী আগত দর্শকদের জন্য প্রচার করতে হবে।
- প্রতিমা মণ্ডপে সাধারন দর্শকের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
- বড় পূজামণ্ডপে ৪৬ থেকে ৬০ জন এবং ছোটো পূজামণ্ডপে ১০ থেকে ১৫ জন পুজা কমিটির লোক প্রবেশ করতে পারবে।
আর এই নিয়মাবলী মেনে চলবে যে পুজা কমিটিগুলি, তাদের জন্য পুলিশের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কার। জানানো হয়েছে, সমস্ত নির্দেশিকা মেনে যে যে পুজা কমিটি এবারের কালীপূজায় অংশগ্রহন করবে, তাদের মধ্যে থেকে প্রথম তিনটি পুজা কমিটিকে বিজয়ী হিসাবে বেছে নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে - প্রথম পুরস্কার দেওয়া হবে নগদ ২৫,০০০ টাকা। - দ্বিতীয় পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হবে নগদ ২০,০০০ টাকা। - এবং, তৃতীয় পুরস্কার হিসাবে বিজয়ী পুজা কমিটি পাবে নগদ ১৫,০০০ টাকা।
তবে শুধু পুরস্কারমুল্যের জন্যই নয়, এই মুহূর্তে পুজা কমিটি এবং নাগরিকদের আশু কর্তব্য নিজেদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সতর্কতা পূর্বক কালীপূজায় অংশগ্রহন করা। সেই সাথে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে রাশ টানার উদ্দেশ্যে বারাসাত পুলিশের তরফ থেকে এমন অভিনব উদ্যোগ সত্যই প্রশংসার দাবী রাখে।