IISER: ৬ বছরেও শেষ হয়নি PhD, মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী কৃতী পড়ুয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 07/04/2022   শেষ আপডেট: 07/04/2022 10:55 a.m.
https://www.facebook.com/safik.islam.142

অভিযোগের তির রিসার্চ গাইড প্রফেসরের বিরুদ্ধে, সুইসাইড নোটে তেমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

দীর্ঘ ৬ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণার কাজে যুক্ত ছিলেন কৃতী পড়ুয়া। তারপরও শেষ করতে পারেননি নিজের গবেষণার কাজ। অভিযোগের তির অবশ্য নিজের গবেষণার গাইড প্রফেসর। মানসিক অবসাদে আত্মহননের পথ বেছে নেন এই পড়ুয়া। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

সূত্রের খবর, মৃত পড়ুয়ার নাম শুভদীপ রায়। দমদমের নাগেরবাজার এলাকার বাসিন্দা তিনি। নদিয়ার হরিণঘাটার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্টিফিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (IISER) প্রতিষ্ঠানে তিনি গবেষণা করতেন। অভিযোগ উঠেছে, এই গবেষণার কাজে তিনি রিসার্চ গাইডের কোন সাহায্য পাননি। এমনকী মৃত্যুর আগে নিজের সুইসাইড নোটে সেই গাইডের কথা উল্লেখ করে গিয়েছেন।

গোটা ঘটনায় রীতিমতো উত্তপ্ত আইসার। মঙ্গলবার রাতে ক্যাম্পাসে মোমবাতি ও মোবাইল টর্চ জ্বেলে মিছিল করা হয়। বুধবার অ্যাডমিন কমপ্লেক্স, রিসার্চ কমপ্লেক্সে লেকচার হল বন্ধ করে অবস্থান বিক্ষোভে নামেন শুভদীপের বন্ধুরা। তাঁদের অভিযোগ, শুভদীপের এই মৃত্যু কোন আকস্মিক ঘটনা নয়। শুভদীপের রিসার্চ গাইড গবেষণার কাজে তেমন সাহায্য করছিলেন না। যা নিয়ে আগে শুভদীপ তাঁর বন্ধুদের কাছে আগেও বারবার বলেছেন। নিজের গবেষণার কাজ করতে না পেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তাই গবেষণাগারেই তিনি আত্মহননের পথ বেছে নেন।

সূত্রের খবর, রবিবার অনেক রাত পর্যন্ত শুভদীপ ল্যাবে ছিলেন। বাকিদের অনুমান হয়তো শুভদীপ গবেষণার কাজে ব্যস্ত। পরের দিন দেখা যায় ল্যাবের দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরও শুভদীপ দরজা খোলেনি। দরজা ভেঙে দেখা যায় মর্মান্তিক দৃশ্য। মুখে প্লাস্টিক আটকানো। অনুমান বিষাক্ত হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস মুখে ভরে নিয়ে নিজের মুখ প্লাস্টিক দিয়ে আটকে ফেলেছিল। ততক্ষণে শুভদীপের সারা শরীর নীল হয়ে গেছে। নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে, যদিও ততক্ষণে শুভদীপ নিষ্প্রাণ।

ঘটনায় জড়িয়েছে সেই রিসার্চ গাইড প্রফেসরের নাম। শুভদীপের মা মঙ্গলবার দুপুরে হরিণঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত সেই রিসার্চ গাইডের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। গোটা ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অধিকাংশ পড়ুয়া। তাঁরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। অভিযুক্ত প্রফেসরের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন তাঁরা।