ভাইকে টিফিন দিতে স্কুলে গিয়েছিল নাবালিকা দিদি, স্কুলে ঢুকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
ঘটনার সময় অভিযুক্ত যুবককে গণধোলাই, স্কুলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ
ভাই স্কুলে চলে গেছে। টিফিন নিয়ে যায়নি। ছোট্ট ভাইকে টিফিন দিতে স্কুলে এসেছিল নাবালিকা দিদি। স্কুলে ঢুকে এক বহিরাগত এমন কান্ড ঘটাবে কে তা জানত! ভয়ে সারা মেয়েটি। কথা বলতে ভয় পাচ্ছে এমনই পরিস্থিতি।
স্কুলে ঢুকে এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ময়নাগুড়ির পশ্চিম বারো ঘড়িয়া এলাকার। স্থানীয় লোকজন দৌড় করিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও করে যুবকটিকে। ধরেই গণধোলাইয়ের পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই যুবকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় তীব্র চাপানউতোর। পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা।
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন? সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুর নাগাদ ভাইকে টিফিন দিতে গিয়েছিল সেই নাবালিকা। টিফিন দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় এক যুবক তাকে জোর করে টেনে নিয়ে যায় নির্জন জায়গায়। তারপর তাকে জাপটে ধরে শারীরিক নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। নাবালিকার চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসেন। বেগতিক বুঝে সেই অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করে। তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করে বেধড়ক গণধোলাই দেয় স্থানীয় লোকজন।
ঘটনার পর থেকেই নাবালিকা ভয়ে বাক্যহারা। তাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এলাকার লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। এইভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে এমন জঘন্য ঘটনায় স্কুলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ। স্কুলে পাঁচিল নেই, তাই যে কেউ ঢুকে পড়া কোন ব্যাপার নয়। তবে স্কুল ক্যাম্পাসে ঢুকে এমন ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকাবাসী।