মর্মান্তিক! ঘুমন্ত বাবার মাথায় বাঁশের আঘাত মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের, ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেল বাবার
অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ, ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে
মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা পাড়া মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের বাঁশের আঘাতে প্রাণ গেল ঘুমন্ত বাবার। ঘটনায় চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশল গ্রামের। মৃত ব্যক্তির নাম অতুল মহলদার (৫২)। স্থানীয় সূত্রে খবর, অতুল মহলদার দিন মজুরের কাজ করতেন। বাড়ির আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। দুই ছেলে এবং দুই মেয়েকে নিয়ে ভরা সংসার। নিজে দিন মজুরের কাজ করতেন। পাশাপাশি দুই ছেলেও বাবাকে দিন মজুরের কাজ করে সাহায্য করতেন। কিন্তু বাড়ির ছোট ছেলে ভরত মহলদার বছর দুয়েক হল মানসিক ভারসাম্যহীন। ঘরের কাজে সাহায্য করত না। এদিকে পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে ছোট ছেলের ভালো চিকিৎসাও করাতে পারেননি অতুল বাবু। সবই ঠিকঠাক ছিল কিন্তু আকস্মিক ছোট ছেলের এই কীর্তিতে তাজ্জব এলাকাবাসী।
শুক্রবার দোলের (Dol Yatra) দিন ঘরের কাজকর্ম সেরে দুপুরের খাবার খেয়ে নিজের ঘরে শুয়ে ছিলেন অতুল বাবু। বাড়ির ছোট ছেলে ভরত স্নান সেরে এসে আচমকাই বাবার ঘরে ঢুকে যান। পরিবার সূত্রে খবর, তারপর অতর্কিতে ঘুমন্ত বাবার মাথায় বাঁশের আঘাত করে। আচমকাই এমন আঘাতে তৎক্ষণাৎ অতুল বাবুর মৃত্যু হয়। চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন। যদিও ততক্ষণে সব শেষ। দৃশ্য দেখে সকলেই হতভম্ব হয়ে যান। খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। পুলিশ এসে অভিযুক্ত ভরত মহলদারকে আটক করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ভরত এমন ঘটনা কেন ঘটনা কেন ঘটালো তার কোন উত্তর নেই পরিবারের লোকজনদের কাছে। বাড়ির বড়ো ছেলে সন্তোষ মহলদার বুঝতেই পারছেন না ছোট ভাই কেন এমন ঘটালো। এলাকায় শোকের ছায়া। পুলিশ দেহ করেছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।