বিয়ের প্রস্তাব খারিজ, প্রথমে 'চুম্বন', তারপরেই 'গুলি'
যেন হিন্দি ফিল্মের চিত্রনাট্য! বর্ধমানের কাটোয়ার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য
ঠিক যেন সিনেমার চিত্রনাট্য! দীর্ঘদিন পর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা। স্বাভাবিকভাবেই দূরত্বের অবসান ঘটিয়ে চোখে চোখ রেখে আলিঙ্গন। তারপর চুম্বন। কিন্তু সবশেষে প্রেমিকের কপালে যে গুলি খাওয়ার হিসেব ছিল কেই-বা তা জানত! বরাত জোরে অল্পের জন্য প্রাণ বাঁচল যুবকের। আর একটু হলেই তো ভবলীলা সাঙ্গ হত বলছেন যুবকের বন্ধুরা।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে উভয়ের বছর তিনেকের সম্পর্ক। কিন্তু প্রেমিক বর্তমানে আর তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি। বিয়ের প্রস্তাব খারিজ হওয়ায় নীরবে সহ্য করে প্রেমিকাটি। যদিও মনের ভেতর চাপা আক্রোশ তো ছিলই। তাই সম্পর্ক যখন তলানিতে তখনই প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করে সেই প্রেমিকা। গলির অন্ধকার কোণে একে অপরে নিজেদের সুখ-দুঃখের কথা ভাগাভাগি করে নিচ্ছিলেন। হালকা বাক্-বিতন্ডাও হয়। যদিও তারপরেই একে অপরে চুম্বনে লিপ্ত হন। কিন্তু তারপরেই যে প্রেমিকের বুকে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে কাঁচা হাতে ট্রিগার চেপে দেবে প্রেমিকা, এমন চিত্রনাট্য তো বলিউড সিনেমায় দেখা যায়।
ঘটনাটি বর্ধমানের কাটোয়ার (Katwa)। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত তরুণী ফোন করে প্রেমিককে কাটোয়ার সার্কাস ময়দানে ডাকেন। দুজনের মধ্যে কিছুক্ষণ কথাবার্তাও হয়। যদিও প্রেমিক ঘুণাক্ষরেও টের পাননি সবশেষে কী ঘটতে চলেছে। এরপর অভিযুক্ত প্রেমিকা চুম্বনের পর ওড়না সরিয়ে ওয়ান শাটার বন্দুক চালিয়ে দেন। যদিও ততক্ষণে হাত ছিটকে বেরিয়ে গেছে প্রেমিক। প্রথমেই লক্ষ্যভ্রষ্ট। ফের আর একটি গুলি করেন তরুণী। জ্যাকেটের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই প্রেমিক তরুণের মন থেকে এখনও আতঙ্কের রাশ কাটছেই না।
এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার কারণ কী? সূত্র মারফত খবর, দুজনের প্রায় বছর তিনেকের সম্পর্ক। যদিও বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে প্রেমিক। কারণ হিসেবে জানা গেছে বিয়ের যৌতুক নিয়ে বাদানুবাদ। যদিও প্রেমিকের পাল্টা অভিযোগ ওই তরুণী অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। তাই তাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। প্রশ্ন উঠেছে সেই তরুণী আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে পেলেন? সূত্র মারফত আরও খবর, অভিযুক্ত তরুণী বেশ কয়েক মাস ঝাড়খণ্ডে ছিলেন। হতে পারে সেখান থেকেই এই আগ্নেয়াস্ত্রটি সংগ্রহ করেছেন। গোটা ঘটনায় মানুষের চোখে ঘুম নেই। এলাকায় থমথমে পরিবেশ। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা তো সিনেমার চিত্রনাট্যে সম্ভব, এ তো বাস্তবে ঘটল। বিশ্বাসই করতে চাইছেন না কাটোয়াবাসী।