গৃহবধূর উপর চলত অত্যাচার, জামাইকে গাছে বেঁধে পেটাল শ্বশুরবাড়ির লোক
আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি যুবক
পণের দাবীতে গৃহবধূর উপর অত্যাচার করত স্বামী। তারই শোধ তুলতে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে এনে রীতিমতো গাছে বেঁধে জামাইকে উত্তম-মধ্যম পেটাল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) দেগঙ্গার বাসুদেবপুর গ্রামে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ঐ যুবক।
সূত্রের খবর, আহত যুবকের নাম আবদূর রহমান। বছরখানেক আগে বাসুদেবপুরে বিয়ে হয়েছিল আবদুরের। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীয়ের উপর অত্যাচার (domestic violence) করতে থাকে সে। মেয়ের বাড়ির অভিযোগ, বিয়েতে অনেক জিনিসপত্র দেওয়া সত্ত্বেও তাঁদের মেয়েকে পণ দেওয়া জন্য চাপ দিত আবদূর। পণ না দেওয়ায় তাঁকে মারধরও করা হত।
একই মাঝে কয়েক মাস আগে গর্ভবতী অবস্থায় বাপের বাড়ি আসেন আবদুরের স্ত্রী। জানান, গর্ভবতী হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে মারধর করেছেন আবদূর। এর কিছুদিন পর একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। আবদুরের পরিবার অভিযোগ জানিয়েছে, পুত্রসন্তানকে দেখতে যাওয়ার অনুরোধ করে আবদুরের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সেই অনুরোধ রেখেই শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেখানে যেতেই তাঁকে মারধর করেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।
যদিও ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন আবদুরের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাঁরা জানান, নিজেই নিজেকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে আবদূর। আবদুরের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেছেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।
এদিকে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, আবদুরকে যখন গাছে বেঁধে পেটানো হচ্ছিল, তখন যাতে কেউ না তাঁকে বাঁচাতে যেতে পারে সেজন্য সামনে কুড়ুল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবদুরের শ্বশুর। তবে পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে আহত যুবককে উদ্ধার (rescue) করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।