কমিশনের নির্দেশ মেনে সমস্ত সভা বাতিল মমতার, শেষ দু'দফায় ভার্চুয়ালেই ভরসা
গতদিন সন্ধ্যা সাতটা থেকেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে
এবার আর কোনো সংঘাত নয়, মানুষের স্বার্থে করোনা অতিমারীর এই সংকটে নির্বাচন কমিশনের আদেশকে মান্যতা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই তাঁর বাংলা সফর বাতিল করেছেন যার ফলে বাদ পড়েছে চারটি জনসভা। গতকাল রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর টুইটারে লেখেন, "রাজ্য তথা দেশের কোভিড পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে নির্বাচন কমিশন একটি নির্দেশ জারি করেছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে আমি আমার সমস্ত পূর্ব নির্ধারিত জনসভা বাতিল করছি। আগামীতে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মেই জনসংযোগ করব আমরা। আমাদের ভার্চুয়াল সভার কর্মসূচি শীঘ্রই জানিয়ে দেওয়া হবে।"
সেই মোতাবেক আজ দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ দুর্গাপুরের একটি হোটেলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার ৯ আসনের তৃণমূল প্রার্থীদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করবেন যা নেটমাধ্যমেও সম্প্রচারিত হবে।
দেশজুড়ে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এবং তার লাগামছাড়া বৃদ্ধির জন্য বিপুল জনসমাবেশে একের পর এক হয়ে চলা রাজনৈতিক সভাগুলিকেই দুষেছেন রাজ্য তথা দেশবাসী। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা হাইকোর্ট তথা সুপ্রিম কোর্ট থেকেও। কমিশনের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী পরবর্তী দুদফার জন্য আর থাকবেনা কোনো নির্বাচনী পথসভা, মিছিল ইত্যাদি, জনসভাতেও সর্বাধিক পাঁচশো জন থাকতে পারবে। গতদিন সন্ধ্যা সাতটা থেকেই এই নিয়ম বলবৎ হয়ে গেছে। যদিও আর কোনো প্রকার রাজনৈতিক জমায়েতের দিকে যাচ্ছেনা কোনো দল। মুখ্যমন্ত্রীর মতোই প্রধানমন্ত্রীও ভার্চুয়ালি সভা করবেন। আজ বিকেল পাঁচটায় দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্স মারফৎ প্রচারে হাজির হবেন নরেন্দ্র মোদী।