বাংলা এবার আপনার দুয়ারে, পর্যটন শিল্পের উন্নীতকরণে একধাপ এগোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 27/05/2022   শেষ আপডেট: 27/05/2022 6:06 p.m.
facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/

রাজ্যের প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলি হাইলাইট করে ইশতেহার বিলি করা হচ্ছে 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্পে

পর্যটনপ্রিয় মানুষদের বরাবরের পছন্দের তালিকায় থাকে উত্তরবঙ্গ। এবার সেই উত্তরবঙ্গের ইউএসপি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের উপর ভর করেই পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। দার্জিলিং-এর সবুজ চা বাগান হোক বা কালিম্পং পর্বতের স্বর্গীয় সৌন্দর্য, পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন সম্পর্কিত সমস্ত কিছুর বিস্তারিত তথ্য এবার পাওয়া যাবে আপনার দোরগোড়ায়, ওই 'দুয়ারে পর্যটন' আর কী!

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন বিভাগ রাজ্যের ২৩টি জেলাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলিকে হাইলাইট করার জন্য বাসিন্দাদের কাছে ইস্তেহার বিতরণ শুরু করেছে। লিফলেটগুলি 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্পের অংশ হিসাবেই বিতরণ করা হচ্ছে। দুই পৃষ্ঠার রঙীন প্রচারলিপিতে রাজ্যের ভ্রমনোপযোগী স্থানগুলির বিষয়ে বিশদে তথ্য জানানো হয়েছে। পর্যটকদের জন্য ভালো পরিষেবাযুক্ত হোটেল এবং রিসর্টের‌ও উল্লেখ করা হয়েছে ইস্তেহারে। এসব হোটেলের যোগাযোগের তথ্যও দেওয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, দার্জিলিং-এর লিফলেটে পটমাজা নাইডু হিমালয় চিড়িয়াখানা, বাতাসিয়া লুপ, ঘুম বৌদ্ধ মঠ ইত্যাদির উল্লেখ রয়েছে। ঘরে বসেই অ্যাক্সেস করা যেতে পারে এই ইস্তেহার।

এ তো গেল উত্তরবঙ্গের কথা! তবে বঙ্গভ্রমণে যে শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গ রয়েছে এমনটা নয়। ইশতেহারে দেখা মিলেছে আরও কিছু মনমুগ্ধকর জায়গার। মুর্শিদাবাদের ইস্তেহারে ফুটে উঠেছে রাজকীয়তা যা ইতিহাসকে প্রতিফলিত করে। মুর্শিদাবাদের ক্ষেত্রে পর্যটনোপযোগী জাদুঘর, হাজারদুয়ারি প্রাসাদ এবং নিজামত ইমামবাড়ার উল্লেখ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে পর্যটন খাতের উন্নীতকরণের মাধ্যমে ১২ শতাংশ জিডিপি উঠে এসেছে কোষাগারে। রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণ অংশে বেশ কিছু নতুন পর্যটনস্থান গড়ে তুলতে সচেষ্ট রয়েছে প্রশাসন।