সালিশি সভার চরম বর্বরতার নিদর্শন, গণধর্ষণের কাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠল মাতব্বরদের বিরুদ্ধে
ধূপগুড়ি গণধর্ষণ কাণ্ডে চাঞ্চল্য, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ গ্রামের সালিশি সভার মাতব্বরদের বিরুদ্ধে
ফের এই রাজ্যে সালিশি সভার চরম বর্বরতার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করলেন সাধারণ মানুষ। বিচারের নামে বারবার ঘটনা যে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তার নগ্ন রূপটি ফের প্রকাশ্যে এল। পুলিশের কাছে যেতে বাধা দেওয়া, মূল ঘটনা আড়াল করা-সহ একাধিক অভিযোগ উঠল এই গ্রামের সালিশি সভার বিরুদ্ধে। এমনকী গণধর্ষণের মতো নক্কারজনক, ঘৃণ্য ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল এই সালিশি মাতব্বরদের ঘোটালা। যদিও শেষরক্ষা হয়নি।
ঘটনাটি উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়ির। সূত্রের খবর, এই এলাকায় ফের গণধর্ষিতা হয়েছেন এক নাবালিকা। জনা সাতেক যুবক মিলে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সেই নির্যাতিতার বর্তমান অবস্থা অতি আশঙ্কাজনক। এমন ঘৃণ্য ঘটনার প্রতিবাদ দূরে থাকুক, বরং ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠল এই সালিশি সভার বিরুদ্ধে।
ঠিক কী ঘটেছিল? ঘটনাটি জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ভিমটিয়া এলাকার। এখানেই এক নাবালিকা গণধর্ষণের শিকার হন। পরিবারের লোকজন পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর উদ্যোগ নিলে স্থানীয় মাতব্বর তাঁদের বাধা দেন বলে অভিযোগ। বলা হয়, সালিশি সভায় আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হবে। এদিকে নাবালিকার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। তাঁকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। আর তখনই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
ইতিমধ্যেই একটি অডিও ক্লিপ (যদিও পরিদর্শক এই অডিও ক্লিপ যাচাই করেনি) ভাইরাল হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে সাত-আটজন মিলে এই গণধর্ষণের কাণ্ড ঘটিয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে সোহেল আলম নামে স্থানীয় এক যুবক মূল পাণ্ডা। এমন জঘন্যতম ঘটনা গ্রামের সালিশি সভার বিরুদ্ধে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে পুলিশের কাছে দায়ের হয়েছে মামলা। গোটা ঘটনাটি নিয়ে তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।