বিষ্ণুপুরে নৌকার ওপর বজ্রপাতে মৃত ১, জখম ৫
আহতরা বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
মর্মান্তিক ঘটনা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। দিনের শেষ খেয়ায় দুই চালক সহ ছিলেন চার যাত্রী। আচমকা প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি শুরু হওয়ায় মাথা বাঁচাতে সকলেই আশ্রয় নেন নৌকার ত্রিপলের নীচে। আর তখনই ঘটে সাংঘাতিক কান্ড। নৌকার ওপর বাজ পড়ে মৃত্যু হয় একজনের। গুরুতর জখম হয়েছেন বাকি পাঁচ জন। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েউ বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ওখানেই তারা চিকিৎসাধীন। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে মামলা রুজু করে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটি পাঠানো হয়েছে। আর বিষ্ণুপুরের দ্বারকেশ্বর নদের বাগড়া ফেরিঘাটের এই ঘটনার জন্য ওই ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গেছে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বিষ্ণুপুরের দমদমা ঘটে ফেরার জন্য বাগড়া ঘাটে অপেক্ষা করছিল নৌকাটি। আচমকাই অত্যধিক ঝড় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হলে নৌকোর উপরে ত্রিপল চাপা দিয়ে বৃষ্টির ছাঁট আটকানোর চেষ্টা করেন নৌকার চালক বাগড়ার বাসিন্দা বাসুদেব বাগদি ও কাটনার মীর আজিজুল। এই যাত্রীদের মধ্যে অভিজিৎ দে(৩০) নামে ওই যুবক যিনি মোটরবাইক সহ নৌকায় ওঠেন, তারই মৃত্যু হয় বজ্রাঘাতে। ওই বজ্রপাতেই জ্ঞান হারান নৌকার বাকি সহযাত্রীরা।
অভিজিতের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জ্ঞান হারিয়েছেন তার মা ও স্ত্রী, বাবাও বাকরুদ্ধ। চার বছরের ছোট শিশু রয়েছে অভিজিতের। অন্যদিকে, হাসপাতালের বেডে শুয়েই ভয়াবহতার বর্ণনা দিয়েছেন কমল নামে এক যাত্রী। কানফাটা আওয়াজ আর প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে সবাই প্রায় অচেতন। রাজু নামে এক সহযাত্রীর বুকের একটা দিক প্রায় ঝলসে গেছে। বীভৎসতার বর্ণনা করতে গিয়ে শিউরে ওঠেন তিনি।