বামনেতা অশোক ভট্টাচার্যের পরাজয়, শিলিগুড়ি পুরসভা দখলের পথে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস
অশোক ভট্টাচার্যের অহংকার জব্দ হল, বলছেন কংগ্রেস নেতা শঙ্কর মালাকার
প্রথমে প্রার্থী হতে চাননি। ফোন আসে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। আর না করতে পারেননি। লড়াই দিলেন কিন্তু শেষমেশ হেরে গেলেন। শিলিগুড়ি পুরসভায় তৈরি হল নতুন ইতিহাস। হেরে গেলেন সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা তথা বাম আমলের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattacharya)।
সকালে ভোট গণনার শুরুতে এগিয়ে ছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। ইলেকশন ডিউটি ভোটে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিলেন তিনি। যদিও তারপর থেকেই পিছিয়ে পড়েন। এই ওয়ার্ডের ৩২ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। এতদিন বামনেতা অশোক ভট্টাচার্য এই ভোটেই জয় ছিল প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু এবারের পুরসভা নির্বাচনে জোর লড়াই দিয়েও হেরে গেলেন তিনি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ৩০০-র বেশি ভোটে তিনি পরাজিত হলেন।
এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইছিলেন না অশোক ভট্টাচার্য। নিজেই জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত ভাবে ভোটে দাঁড়াতে আমার আপত্তি ছিল। কিন্তু দল সিদ্ধান্ত নিলে ব্যক্তিগত আপত্তি তুচ্ছ হয়ে যায়। সিপিএমের এই বর্ষীয়ান নেতার পরাজয়ে চিন্তা বাড়ল দলের, যদিও সিপিএমের একাংশের অভিমত জয় পরাজয় মূল বিষয় নয়, সারা বছর মানুষের পাশে থাকতে হবে।
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা শঙ্কর মালাকার জানালেন, সিপিএমের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এবং অশোক ভট্টাচার্যের অহংকার এই ফলাফল এনে দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, কোন জোটই হয়নি। গত দু বছর বহু আলোচনার পরেও কোন সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি। আর যার ফলশ্রুতিতে এই ফলাফল। একসময় শিলিগুড়ি পুরসভা এবং অশোক ভট্টাচার্য ছিলেন পরিপূরক। সেই পুরসভায় অশোক ভট্টাচার্যের পরাজয় যথেষ্ট তাৎপর্যময় বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।