রাজ্যের ৪ পুরনিগমে ভোট আজ, গতকাল দিনভর চলেছে নাকা চেকিং ও সশস্ত্র পুলিশবাহিনীর রুটমার্চ
বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর এবং শিলিগুড়িতে রয়েছে ভোট
আজ, ১২ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাজ্যের ৪ পুরনিগমে ভোট। শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে গতকাল থেকেই বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর এবং শিলিগুড়িতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। গতকাল বিকেলের মধ্যেই সব বুথে বুথে ইভিএম পৌঁছে গিয়েছে। এছাড়া সব বুথে রয়েছে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং সিসিটিভি নজরদারি ব্যবস্থা। এছাড়া বিগত দু'দিন ধরে গোটা পুরনিগম এলাকায় রুটমার্চ করছে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। জায়গায় জায়গায় চলছে নাকা চেকিং। নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনিতে ৪ পুরনিগমে ভোট হবে আজ।
আজকের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি বুথ রয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে। মোট বুথের সংখ্যা ১ হাজার ১৮২ টি। প্রত্যেক বুথে থাকবেন চারজন বুথকর্মী। এই আসানসোলে মোট ভোটার সংখ্যা ৯ লাখ ৪২ হাজার ৯০ জন। গতকাল থেকেই আসানসোলের গোটা পুরনিগমে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী রুটমার্চ করছে। বহিরাগতদের ঠেকাতে সীমানায় চলেছে নাকা চেকিং। বিভিন্ন কমিউনিটি হলে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এছাড়া আজকে শান্তিপূর্ণ ভোট সম্পন্ন হওয়ার জন্য পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আসানসোলের পাশাপাশি বেশ কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা বজায় রেখেছে বিধাননগর কমিশনারেট। গতকাল সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় চলেছে নাকা চেকিং। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস সল্টলেক অঞ্চল ঘুরে দেখেছেন। এই বিধাননগরে মোট বুথের সংখ্যা ৫২৩ টি এবং মোট ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৭৪০ জন। এছাড়া, শিলিগুড়িতে মোট বুথের সংখ্যা ৫০২ টি। তবে এরমধ্যে ৮১ টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গতকাল থেকেই ২ হাজার ২৭২ জন পুলিশকর্মীকে শিলিগুড়িতে মোতায়েন করা হয়েছে। এই শিলিগুড়িতে মোট ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ২ হাজার ৮৯৫ জন।
অন্যদিকে, ৪ পুরনিগমের মধ্যে বুথের সংখ্যা সবচেয়ে কম চন্দননগরে। মোট বুথের সংখ্যা ১৭৩ টি এবং ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৪৩ জন। চন্দননগরের মোট ৩৩ টি ওয়ার্ড রয়েছে। তবে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যুর জন্য ওই ওয়ার্ডে ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে। বাকি সব জায়গার মতোই গতকাল থেকে চন্দননগরে দিনভর নাকা চেকিং চলেছে। পাশাপাশি গঙ্গাবক্ষে বোটে পেট্রোলিং করতেও দেখা গেছে পুলিশকে।