আচমকাই ইলিশের আমদানি! অসময়ে দিঘায় পাওয়া যাচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ
অসময়ের এই ইলিশ স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়, দামেও সস্তা
ভরা বসন্তে দেদার উঠছে সমুদ্রের রুপোলি শস্য ইলিশ (Hilsa)। দামেও সস্তা। স্বাদে গন্ধে বর্ষার ইলিশকেও হার মানাবে। গত কয়েক দিনে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘার (Digha) বাজারে প্রতিদিন কুইন্টাল কুইন্টাল উঠছে ইলিশ। অসময়ে এমন ইলিশের আমদানি দেখে বেজায় খুশি দিঘার মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
সাধারণত বর্ষায় ঝাঁকে ঝাঁকে পাওয়া যায় ইলিশ। কিন্তু এই অসময়ে মার্চ মাসে এমন ইলিশ আমদানি দেখে বিশ্বাসই করতে চাইছেন না একাংশ। দিঘার এক মৎস্য ব্যবসায়ীর কথায়, "গত কয়েক দিন আচমকাই দিঘায় ইলিশ আমদানি বেড়ে গিয়েছে। রোজ ২ থেকে ৩ কুইন্টাল ইলিশ পাওয়া যায়। দামও নাগালের মধ্যেই। এইরকম সময়ে ইলিশের তেমন আমদানি থাকে না। তবে এ বছর আচমকাই এই অসময়ে ইলিশের এত আমদানি অবাক করে দিয়েছে।"
এত ইলিশ আমদানির খবর শুনে স্থানীয় লোকজন ইলিশ কিনতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। কাঁথির বাজারেও দেদার বিকোচ্ছে ইলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, অধিকাংশ ইলিশের ওজন ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের মধ্যে। কেজি প্রতি বিকোচ্ছে ৫০০ টাকার মধ্যে। বড় ইলিশের আমদানিও ভালোই আছে। ১ কেজির উপরে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। দেড় থেকে দু কেজির ইলিশ মিলছে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকায়।
আচমকাই এই ইলিশ আমদানির কারণ কী? একাংশ বলছেন, ইলিশ সারা বছর পাওয়া যায়। তবে বর্ষার সময় ইলিশের আমদানি ভালো থাকে। তবে ইলিশ মাছ বছরে দু'বার ডিম পাড়ে - বর্ষায় এবং শীতে। এখন সমুদ্রে তেমন বিপত্তি নেই। তাই গভীর সমুদ্রে যেতেই মিলছে এমন ইলিশ। আর ইলিশের কথা শুনেই বাঙালির তো জিভে জল। ইলিশ কিনতে দিঘায় ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্য মানুষ।