গ্রীষ্মের দাবদাহে বাড়ছে রক্তসংকট, রক্তের দাম কমাতে উদ্যোগী স্বাস্থ্যদপ্তর
এক ইউনিট রক্ত কিনতে সাধারণ মানুষের ৩-৪ হাজার টাকা খরচ হয়
বৈশাখের শুরুতেই দাবদাহের প্রকোপে বাইরে পা রাখা দায়। তীব্র গরমে রক্তসংকটের মুখে যাতে না পড়তে হয়, তার জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। রক্তের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্ল্যাড ব্যাংকে চলল অভিযান। ২০১৪ সালের ড্রাগ অ্যান্ড কসমেটিক্স আইন অনুযায়ী, বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক প্রতি ইউনিট রক্তের জন্য ন্যূনতম ১,৪৫০ টাকা ধার্য করে। কিন্তু এর ওপর প্রসেসিং ফি, ব্যাগের চার্জ মিলিয়ে এক ইউনিট রক্ত কিনতে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে ৩-৪ হাজার টাকা খসে যায়। এবার সেই দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হবে, এমনটাই জানাল স্বাস্থ্যদপ্তর।
আমাদের রাজ্যে ৪৭ টি লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্লাড ব্যাংক আছে। ড্রাগ অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্ট অনুযায়ী, ব্লাড ব্যাংককে লাইসেন্স দেওয়া হয়ে থাকে। কোভিড পরিস্থিতি চলাকালীন বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কাজ খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি, তাই এবার সেই কাজ সম্পন্ন করল স্টেট ব্লাড সেল। গতকালই তিনদিন যাবৎ চলা কর্মসূচি শেষ হয়েছে মানিকতলা স্টেট ব্লাড ব্যাংকে। এখানে, বেসরকারি ব্লাড ব্যাংকগুলির চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান ও কাউন্সিলরদের বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন স্বাস্থ্যদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এছাড়াও ছিলেন রাজ্য ও কেন্দ্রের ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরাও।
তীব্র গরমে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা ও রক্তকে ঠিকমতো ব্যাংকে নিয়ে যাওয়া বেশ অসুবিধাজনক। ব্লাড ক্লট করে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অথচ গ্রীষ্মকালে রক্তের চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ট্রান্সফিউশন অ্যান্ড হেমাটোলজির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. প্রসূন ভট্টাচার্যের কথায়, "নতুন ড্রাগ কন্ট্রোল অ্যাক্টে অনেক নতুন নিয়ম সংযোজিত হয়েছে সেগুলি জানানো আর কাজ করতে যেসব সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে সেগুলির উপায় বাতলে দেওয়া ছিল কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি গরমে রক্তের চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু চাহিদামাফিক রক্ত পাওয়া যায় না। তাই বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে রক্ত সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।"