স্কুল শিক্ষকেরা প্রাইভেট টিউশন পড়ালে করা যাবে FIR, ঘোষণা স্কুল শিক্ষাদপ্তরের
স্কুলশিক্ষা দপ্তর সম্প্রতি ৬১ জন স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে
স্কুল শিক্ষক হয়ে প্রাইভেট টিউশন পড়ানো যাবে না, এই নিয়ে বহু বছর ধরে সোচ্চার হয়েছিল প্রাইভেট টিউটরদের ফোরাম। সরব হয়েছিল অধিকাংশ অভিভাবকও। প্রাইভেট টিউটর ফোরামের অভিযোগ ছিল, করোনা হোক কিংবা গরমের ছুটি, স্কুল বন্ধ থাকলেও বেতন পায় স্কুল শিক্ষকেরা। একটা মোটা অঙ্কের বেতনের পাশাপাশি, হাজার হাজার পড়ুয়াদের তারা প্রাইভেট পড়ান। সেই পড়ুয়াদের বেতনও তারাই পান। তাহলে যুব সমাজের কী হবে? যারা শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতী আছেন, তাদের কী হবে? তাদের অন্তত টিউশন পড়িয়ে দু'মুঠো খাওয়ার সুযোগ করে দিন।
অন্যদিকে অভিভাবকদের অভিযোগ ছিল, 'স্কুল শিক্ষকের কাছে পড়তে না গেলে প্রাক্টিক্যালের নম্বর কমে যাচ্ছে।' এতদিন অনুরোধ করেও মেলেনি লাভ। গোপনে চলছে দেদার প্রাইভেট টিউশন।
এবার এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল রাজ্য স্কুলশিক্ষা দপ্তর। আইন অনুযায়ী শিক্ষকদের টিউশন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বুধবার স্কুলশিক্ষা দপ্তরের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, "অনুরোধ উপরোধ অনেক হয়েছে। প্রাইভেট টিউশন করলে প্রধান শিক্ষকরা নির্দিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার থানায় এফআইআর করতে পারবেন।"
স্কুলশিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, করোনা সতর্কতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও শিক্ষকদের বেতন এক টাকাও কমেনি। বসে বসেই পূর্ণ বেতন পেয়েছেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও শিক্ষকদের একটি অংশ চুটিয়ে টিউশন করেছেন। অনেক শিক্ষক আবার নিজে সশরীরে না পড়িয়ে পরিবারের অন্য কাউকে তার কোচিংয়ের দায়িত্ব তুলে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ জমা পড়েছে বিকাশ ভবনে।
স্কুলশিক্ষা দপ্তর সম্প্রতি ৬১ জন স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। ওই শিক্ষকরা সরকারি বেতন নেওয়ার পাশাপাশি টিউশনও করেন বলে অভিযোগ।