বাংলার টিকাকরণের নিয়মে বড়ো পরিবর্তন রাজ্য সরকারের, দেখে নিন বিস্তারিত
মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে এই নতুন পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করলেন
রাজ্যের কাছে বর্তমানে সবথেকে বড় অগ্রাধিকার টিকাকরণ। রাজ্যে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এবং এই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে দুটি বিষয়ের উপর সমান গুরুত্ব দিয়ে রাজ্য সরকার এগোতে চাইছে। রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাজ্যের মানুষকে দুটি ভাগে ভাগ করে দ্রুত টিকাকরণ করানোর পরিকল্পনা নিয়েছে নবান্ন। পাশাপাশি মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই টিকাকরনের ক্ষেত্রে সাময়িক বিধিনিষেধ কোন রকম প্রভাব ফেলবে না।
রাজ্যের মানুষকে আশঙ্কা না করার অনুরোধ করে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "টিকাকরণ আমাদের অগ্রাধিকার। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ জারি করা অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এই কারণে আমরা এই বিধি-নিষেধ জারি করছি।" নবান্ন জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে যত পরিমাণ টিকা পশ্চিমবঙ্গের কাছে আছে ততটা কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ক্ষেত্রে প্রতুল নয়। কিন্তু তবুও রাজ্যের মানুষকে দ্রুত টিকাকরনের জন্য বদ্ধপরিকর নবান্ন কর্তৃপক্ষ। এইজন্যই তারা রাজ্যের মানুষকে দুটি ক্ষেত্রে ভাগ করে তাদের টিকাকরণ করানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
এর মধ্যে প্রথম ভাগটি হতে চলেছে সাধারন মানুষের জন্য এবং এদের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকবেন রাজ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে থাকবে সুপার স্প্রেডার বা যারা প্রতিনিয়ত মানুষের সঙ্গে গিয়ে কাজ করেন তারা। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে কারা থাকবেন তাদের নিয়ে একটা সুস্পষ্ট গাইড লাইন তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। বাস, টোটো ও রিক্সাচালকদের মত পরিবহন কর্মী, সাংবাদিক, মুদিখানার কর্মী, বাজারের বিক্রেতা, রূপান্তরকামী এবং যৌনকর্মী, ভলেন্টিয়ার এবং সংশোধনাগারে থাকা কর্মীরা পড়েছেন এই দ্বিতীয় ভাগে। তবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তাদের একটা সুস্পষ্ট তালিকা তৈরি করে টিকাকরণ শুরু করতে চাইছে নবান্ন। পাশাপাশি, সরকারি, আধা সরকারি কর্মী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের টিকাকরণের পর্ব শেষ হয়েছে। যাদের একটু টিকাকরণ বাকি আছে তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। জরুরী পরিষেবা এবং পণ্যের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন লোকজন, যেমন - রেশন ডিলার, পেট্রোল পাম্পের অধিকর্তা এবং স্টাফেরা রয়েছেন জরুরী পরিষেবার তালিকায়।