গোয়েন্দা গল্পের আদলে চুঁচুড়ার পরিবার থেকে উধাও সোনার বিগ্রহ, তদন্তে পুলিশ
সন্ধ্যারতির সময় ঠাকুরঘরে যেতেই দেখা যায় উধাও বিগ্রহ
‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ই হোক বা ‘পাঞ্চজন্য নীরব কেন’, বাংলার গোয়েন্দা গল্পে একাধিকবার বিগ্রহ এবং তার সম্পর্কিত একাধিক বস্তু খোয়া যাওয়া এবং ফিরে পাওয়ার উল্লেখ পাওয়া গেছে। তবে এবার আর গল্প নয়, বাস্তবে হুগলির (Hoogly) চুঁচুড়ার (Chunchura) এক পরিবার থেকে রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে গেল সোনার বিগ্রহ (golden idol)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তদন্তে (investigation) নেমেছে পুলিশও।
সূত্রের খবর, চুঁচুড়ার তালডাঙার দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা তুহিন গঙ্গোপাধ্যায়। স্ত্রী, সন্তান এবং পারিবারিক পরিচারিকা’কে নিয়ে তাঁর বসবাস। বংশপরম্পরায় ইঞ্চি দু’য়েকের একটি সোনার শিবদুর্গার মূর্তির অধিকারী তাঁরা। রবিবার চুরি গিয়েছে সেই ‘মূল্যবান’ মূর্তিটিই। এবিষয়ে তুহিনবাবুর স্ত্রী পায়েল গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় আরতির সময় ঠাকুরঘরে গেলে তিনি দেখতে পান, সিংহাসন থেকে উধাও শিবদুর্গার বিগ্রহটি। পায়েলের কথায়, তাঁদের ঠাকুরঘরের দরজা সাধারণত সারাদিন খোলাই থাকে। সন্ধ্যারতির পর বন্ধ হয় ঠাকুরঘর। রবিবার সকালেও সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থাতেই ছিল। বিগ্রহ ছিল তার জায়গাতেই। তবে সন্ধ্যারতির সময় ঠাকুরঘরে যেতেই দেখা যায় জায়গায় নেই মূর্তিটি।
এবিষয়ে তুহিনবাবু জানিয়েছেন, তাঁরা জানেন, মূর্তিটির বয়স ৭০-৮০ বছর। তবে সেটির বয়স আরও বেশিও হতে পারে। তাঁর ঠাকুরদাকে এক জমিদার মূর্তিটি দিয়েছিলেন। কিভাবে চুরি গেল বংশপরম্পরায় রয়ে আসা ঠাকুরের বিগ্রহ, তা ভেবেই কপালে হাত গৃহকর্তার। তবে তাঁর সন্দেহ, ইদানিং চুঁচুড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি চুরি হয়েছে। এই চুরির পিছনেও তাঁদেরই হাত রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। এখন দেখার, এই রহস্যের সমাধান কিভাবে হয়?