প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর পেয়েই আত্মঘাতী পিএইচডি পাঠরতা প্রেমিকা, চিঠিতে লিখে গেলেন কারন
অবসাদেই আত্মহত্যা, প্রাথমিক অনুমান পুলিশের
প্রেমিক আত্মঘাতী হয়েছেন। আর এই মৃত্যুর জন্য তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে দায়ী করবে মানুষজন। এই কথাগুলিই চিঠিতে লিখে আত্মঘাতী হলেন প্রেমিকাও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় হুগলী জেলার কানাইপুরে।
ঘটনার সুত্রপাত বুধবার। সেদিন সন্ধ্যায় আত্মঘাতী হন মনোজিৎ সিংহ নামে বছর আঠাশেকের এক যুবক। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে তাঁর আসল বাড়ি হলেও চাকরির সূত্রে তিনি কানাইপুরের ন’পাড়ায় ভাড়া থাকতেন। সেখানে থাকাকালীনই তাঁর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে কানাইপুর কলোনির পুজা শীলের (২৬)। পুজা ফিলোজফিতে পিএইচডি করছিলেন। সেই বন্ধুত্ব ক্রমে প্রেমে পরিণতি পায়।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মনোজিতের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁকে দেখতে যান পুজা। বাড়ি ফিরে রাতের খাবার খেয়ে তিনি এবং তাঁর বোন ঘরে চলে যান। জানা গিয়েছে, মধ্যরাতে শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে বাইরে বেরিয়ে আত্মঘাতী হন পুজা। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া যায় একটি সুইসাইড নোট। তাতে লেখা ছিল, ‘মনোজিৎ চলে গেছে। সামান্য ঝগড়া হয়েছিল আমাদের। আমিও মরে যাচ্ছি। কারোর কথা ভাবি না বলে না। ও যে বিনা কারনে চলে গেল, সেজন্য সবাই আমাকেই দায়ী করবে। তাই আমিও যাচ্ছি……”।
ইতিমধ্যেই জোড়া আত্মহত্যার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাঁদের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদের কারনেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন যুগল। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কানাইপুরের পঞ্চায়েত প্রধান আচ্ছালাল যাদব বলেন, খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। এমন ঘটনা এড়াতে ছেলেমেয়েদের কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন।