‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর বাজেটের ‘ব্রেক ফেল’, চিন্তায় অর্থ দপ্তরের আধিকারিকেরা
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই প্রকল্পের সুবিধাভোগীর সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে প্রায় দু’কোটি ষাট লক্ষতে
গতকালই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাবেন একই পরিবারের একাধিক সদস্যা। আর তার পরেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রাপকের সংখ্যা একধাক্কায় বেড়ে গেল প্রায় এক কোটি। গ্রাহক বাড়ার সাথে সাথে প্রকল্পের বাজেটও একলাফে বেড়ে গেল অনেকটাই। ঘটনায় কার্যত সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অর্থ দপ্তরের আধিকারিকেরা।
এতদিন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের গ্রাহক ছিল প্রায় এক কোটি ষাট লক্ষ। তার জন্য বাজেটও ধরা হয়েছিল এগারো হাজার কোটি টাকা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই সুবিধাভোগীর সংখ্যাটা গিয়ে পৌঁছায় প্রায় দু’কোটি ষাট লক্ষ। নবান্ন সুত্রে খবর, এর ফলে বাজেট বাড়তে চলেছে আরও প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি। ফলে এখন সমগ্র বাজেট গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি।
কিন্তু এত টাকার জোগান কোথা থেকে হবে সেই চিন্তায় ঘুম ছুটেছে অর্থ দপ্তরের আধিকারিকদের। যদিও প্রথমে ঠিক ছিল, যিনি পরিবারের প্রধান মহিলা এবং যাঁর নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে, তিনিই এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী হবেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক ঘোষণায় উঠে এসেছে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও পরিবারের অন্য মহিলারাও এই সুবিধা পাবেন। যদিও নবান্ন সুত্রের খবর, বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ সংস্থানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীদের খরচ কমাতে বলেছেন। তবে এর মাঝেও আমলামহলের একটাই প্রশ্ন, কেবল দপ্তরের খরচ কমিয়ে কি আর এত বড় প্রকল্পের হাল টানা যাবে?
প্রসঙ্গত, এর মধ্যেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ফর্ম পূরণের জন্য মানুষের ভিড় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ইতিমধ্যেই ২২ হাজার ক্যাম্পে প্রায় ৩০ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। তবে কোভিড পরিস্থিতি মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী জনগণকে ক্যাম্পের বাইরে ভিড় করতে বারন করেছেন। প্রয়োজনে ফর্ম পূরণের সময়সীমাও বাড়াবেন বলে দাবী করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১লা সেপ্টেম্বর থেকে চালু হবে এই প্রকল্প।