অভিনব! দুয়ারে সরকার, দুয়ারে রেশন টপকে এবার ‘দুয়ারে’ পৌঁছাল সিঁদুর খেলাও
বীরভূমের বোলপুরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর্মসূচী পালন করলেন তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেড
প্রশান্ত কিশোরের মস্তিস্কপ্রসূত ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচী যে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জন্য একটি বড় হাতিয়ার ছিল সে কথা একবাক্যে স্বীকার করে নেবে অতিবড় তৃণমূল বিরোধীও। তবে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচীর হাত ধরে বিপুল মার্জিনে জয়লাভ করার পর রাজ্য সরকার আরও একাধিক কর্মসূচীকে পাঠিয়েছে রাজ্যবাসীর ‘দুয়ারে’। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কর্মসূচী হল ‘দুয়ারে রেশন’। সরকারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে করোনাকালে উত্তরবঙ্গে শুরু হয়েছিল ‘দুয়ারে বিদ্যালয়’ কর্মসূচী। কিছুদিন আগে বীরভূম জেলা পুলিশের উদ্যোগে চালু হয়েছিল ‘দুয়ারে থানা’ কর্মসূচীও। তবে এবার তাতে অভিনব চমক। এতদিন প্রয়োজনীয় জিনিস তো ছিলই। এবার মানুষের দুয়ারে পৌঁছে গেল বিনোদনও। বীরভূম জেলার বোলপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা তৃণমূল সমর্থকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘দুয়ারে সিঁদুর খেলা’র প্রচার করলেন।
একেই বীরভূম জেলা অধিকাংশ সময়ই খবরের শিরোনামে থাকে। সৌজন্যে, অনুব্রত মণ্ডল। আর তাঁরই গড়ে এমন এক অভাবনীয় কর্মসূচী নজর কেড়েছে অনেকেরই। তবে এর পিছনেও কারন রয়েছে বৈকি। জানা গেছে, সামনেই পৌরসভা নির্বাচন। তাই তার আগে মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে জনসংযোগের বৃদ্ধি করাই এই কর্মসূচীর মূল উদ্দেশ্য। সেজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেবল সিঁদুর খেলাই নয়, সেই ফাঁকে রাজ্য সরকার ঘোষিত প্রকল্পগুলির সুযোগ-সুবিধাও তুলে ধরছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা ব্রিগেড। সোমবার বোলপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তায় দেখা যায় তৃণমূল সমর্থিত মহিলাদের। তাঁরা মিছিল করে বাড়ি বাড়ি ঘোরেন। বাড়ির মহিলাদের সিঁদুর মাখিয়ে পালন করেন ‘দুয়ারে সিঁদুর খেলা’ কর্মসূচী। তবে শুধু সিঁদুর নয়, ‘কেষ্ট’দার কথা মেনে নকুলদানাও তুলে দেওয়া হয় মহিলাদের হাতে।
এদিনের কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মহিলা তৃণমূল নেত্রী তপতী মণ্ডলের বক্তব্য, মানুষের সাথে সম্পর্ক বাড়াতে এই কর্মসূচী গ্রহন করেছেন তাঁরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের হাত শক্ত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মহিলা ভোটারদের বরাবরই বিশেষ নজরে রেখেছে বর্তমান সরকার। সেজন্য কন্যাশ্রী, রুপশ্রী থেকে শুরু করে দুয়ারে সরকার, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পগুলিতে ব্যাপক সুবিধা লাভ করেছেন মহিলারা। নির্বাচনে তার ফল হাতেনাতে পেয়েছে তৃণমূলও। সামনে চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তার পর পৌরসভা নির্বাচন। তাই তার আগে এই কর্মসূচী যে রাজ্য সরকারকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে, তা বলাই বাহুল্য।