বাড়িতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের তোড়জোর, অ্যাম্বুলেন্সে চেপে বাড়িতে ফিরলেন 'মৃত' ব্যাক্তি
খড়দার কোভিড হাসপাতালের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে
এ যেন ছিল রুমাল,হয়ে গেল বিড়ালের মতো ব্যাপার। যার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান উপলক্ষে বাড়িতে ম্যারাপ বাঁধা হয়েছে, আত্মীয় স্বজনও আসতে শুরু করেছে। প্রিয়জন হারানোর দুঃখে সকলের মন ভারাক্রান্ত। এমন সময়ে হাসপাতাল থেকে ফোন আসে যে করোনা আক্রান্ত হয়ে যে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি সুস্থ হয়ে গেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই আকাশ থেকে পড়েন সকলে। শ্রাদ্ধের আগের দিন রাতে 'পুর্নজন্ম' লাভ করে বাড়ি ফেরেন ব্যানাজ্জী বাড়ির কর্তা শিবনাথ বন্দোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবে এমন ঘটনায় সাময়িক ভাবে হতভম্ভ হলেও বাড়ির মানুষকে ফিরে পেয়ে খুশির জোয়ারে ভাসছে ব্যানাজ্জী পরিবার।
গত ৩রা নভেম্বর করোনা আক্রান্ত হয়ে খড়দার বলরাম বসু কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হন বিরাটির বাসিন্দা শিবদাস বন্দোপাধ্যায় ও খড়দার বাসিন্দা মোহিনীমোহন মুখোপাধ্যায়। সেদিনই বারাসাতের জি এন আর সি হাসপাতালে দুজনকে রেফার করা হলেও শুধুমাত্র মোহিনীমোহন বাবুকেই স্থানান্তরিত করা হয়। এবং তার সঙ্গে চলে যায় শিবদাস বাবুর সমস্ত নথি। গত ১৩ নভেম্বর বারাসাতের জি এন আর সি হাসপাতালে মোহিনীমোহন বাবুর মৃত্যু হলে হাসপাতালের তরফ থেকে মৃত্যুর খবর শিবদাস বাবুর পরিবারকে জানানো হয়। পরিবারও হাসপাতাল থেকে দেহ সংগ্রহ করে সমস্ত করোনা বিধি মেনেই শিবদাস বাবু মনে করে মোহিনীমোহন বাবুর দেহ দাহ করেন । হাসপাতাল থেকে তাদের ডেথ সার্টিফিকেট ও দেওয়া হয়। হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মও শুরু করা হয়। শনিবার অর্থাৎ আজ ছিল শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। অন্যদিকে ২০ তারিখে হাসপাতাল থেকে ছুটি পান শিবদাস বাবু।
এ ঘটনায় খড়দার কোভিত হাসপাতালে বিরুদ্ধে চরম গাফিলতি এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ উঠছে। জেলাপ্রশাসন একটি রিপোর্টও তলব করেছে স্বাস্থ্যভবনের কাছ থেকে। গঠিত হয়েছে একটি তদন্ত কমিটিও।