"শূন্য" আসন ব্যাখ্যা করতে নিচুতলার কর্মীদের দুয়ারে যাবে আলিমুদ্দিন নেতারা, ক্ষোভ প্রশমনে নয়া উদ্যোগ
আগামী ৪ জুলাই থেকে এই "কর্মীদের দুয়ারে" উদ্যোগ শুরু হবে
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) সংযুক্ত মোর্চার সদস্য CPIM শিবিরের ভরাডুবি ফল সকলকে অবাক করে দিয়েছিল। গোটা নির্বাচনে বাংলা থেকে একটি আসনও জিততে পারেনি বাম শিবির। এই বিপর্যয়ের পর দফায় দফায় আলিমুদ্দিন ভবনে হয়েছে বৈঠক। চায়ের পেয়ালায় উঠেছে তুফান। বাম শীর্ষ নেতারা বিপর্যয়ের কারণ খোঁজার জন্য হন্যে হয়ে মাঠে নেমেছে। অন্যদিকে নিচুতলার কর্মীরা দলের এমন ভরাডুবি ফলের জন্য শীর্ষ নেতাদের দায়ী করেছে। এই উভয় সংকটে জনতার দরবারের পর একুশে নির্বাচনের বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে নিচুতলার কর্মীদের দুয়ারে যেতে চলেছেন সিপিআইএম নেতারা। আলিমুদ্দিন কর্তারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে স্থির করেছেন যে আগামী ৪ জুলাই নিচু তলার কর্মীদের কাছে ভরাডুবি কারণ জানতে চাইবেন মুজফফর আহমেদ ভবনের কর্তারা।
বামেদের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে "কর্মীদের দুয়ারে"। তাঁদের মধ্যেই একজন বলেছেন, "সরকার যদি মানুষের দুয়ারে আসতে পারে তাহলে কর্মীদের দুয়ারে নেতারাও যেতে পারবেন। সেই চেষ্টাই করবে বাম। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই কর্মীদের মনোবল চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে। তারা নিজেদেরকে বাড়িতে অথবা পার্টি অফিসে সীমাবদ্ধ করেছেন এবং সেখান থেকেই শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এর উপশম করতেই কর্মীদের দুয়ারে পৌঁছে যাবে শীর্ষ নেতারা।" এছাড়া শীর্ষ নেতারা বাড়ি বাড়ি দুয়ারে পৌঁছে জনগণের মতামত এবং পরামর্শ নেবেন যেই উদ্যোগের নাম করা হয়েছে জনতার দরবার। আগামী মাস থেকেই ভার্চুয়ালি রাজ্যের সমস্ত পার্টির সদস্যদের সাথে বিস্তর আলোচনা করবেন শীর্ষ নেতৃত্ব। পরবর্তী সময়ে পার্টি কি করে চলবে তার ইঙ্গিত এই বৈঠকের মাধ্যমে স্থির করা হবে। খুব সম্ভবত, লিচুতলা কর্মীদের ক্ষোভ উপশম করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাম শীর্ষ নেতারা।