পদ্মভূষণ নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি, বুদ্ধের ফোন না পাওয়াকে নিয়ে বিজেপিকে বাণ বামের
বামফ্রন্টের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে, বুদ্ধবাবু ঐদিন কোনো ফোন পাননি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে
পদ্মভূষণ তালিকায় নাম ঘোষণা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে নাকি কোন ফোন পাননি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বামফ্রন্টের তরফ থেকে আজকে এরকম ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করা হলো। বামফ্রন্টের তরফ থেকে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে বুদ্ধবাবুর বাড়িতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে, ফোন করেছেন বলে যিনি দাবি করেছেন, তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করেছেন। এছাড়াও সুজন চক্রবর্তীও বলছেন পদ্মভূষণ পুরস্কার নিয়ে নাকি বিজেপি রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে বিজেপির তরফ থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাফাই দিলেন, "বুদ্ধবাবু যোগ্য বলেই পদ্মভূষণ দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পছন্দ নয় তাই প্রত্যাখ্যান করতেই পারেন।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পদ্ম তালিকা ঘোষণার পর মঙ্গলবার রাতেই কেন্দ্র সরকারের এই তালিকাকে মিথ্যা বলে দাবি করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি বলেছিলেন, "আগে থেকে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। আমি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করছি।" যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, পদ্ম তালিকা প্রকাশের আগে সেদিন দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে ফোন করা হয়, এবং পুরস্কারের কথা জানিয়ে তার থেকে মনোভাব জানতে চাওয়া হয়।
সেই সময় পুরস্কার ঘোষণার পর সিদ্ধান্ত নিলেন বুদ্ধবাবু। বিরোধীরা প্রশ্ন তুললেন, সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য এত সময় কেন নিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য? তারপর সেই বিতর্ক সামাল দিতেই বুধবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বামফ্রন্টের। জানিয়ে দেওয়া হল, বুদ্ধবাবুর কাছে নাকি কোন ফোন আসেনি, তাই তিনি পদ্ম পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন। সুজন চক্রবর্তী বলছেন, "শিশির ভাদুড়ী থেকে শুরু করে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, তারাপদ চক্রবর্তী, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, বাদল সরকার এমনকি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এর আগেও পদ্ম পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন। এরা বাংলার পরম্পরা বোঝেন না আর বিজেপির নেতারা বোঝেন, এটা হতে পারে না। বুদ্ধবাবু বলেছেন তাকে জানানো হয়নি। বাংলার মানুষ এটাই বিশ্বাস করবে। বুদ্ধবাবু বক্তব্য তৃণমূল কিংবা বিজেপির থেকে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য। বিজেপি শুধুমাত্র এটাকে নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে।"