ভারত বনধের সমর্থনে দুর্গাপুরে পথ অবরোধ, প্রতিবাদ করায় স্থানীয় বাসিন্দাকে চড় বাম নেতার
রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতেও দেখা গেল বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি
কেন্দ্র সরকার তিনটি কৃষি বিল পেশ করার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল ব্যাপক মাত্রায় কৃষক আন্দোলন। ঘটনার প্রায় দেড় বছরের বেশি অতিক্রান্ত হলেও আন্দোলনের রেশ এতটুকুও কমেনি। ২৭শে সেপ্টেম্বর সেই কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবীতে ভারত বনধ ডেকেছিল সংযুক্ত কিষান মোর্চা। আর সেই ভারত বনধ সমর্থনের নামে সকাল সকাল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর দেখল বাম নেতার ‘দাদাগিরি’।
ঘটনার সূত্রপাত আজ সকালে। বনধ সফল করার উদ্দেশ্যে এদিন দুর্গাপুর স্টেশনের কাছে রাস্তার উপর বসে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের বাস আটকায় বাম কর্মী-সমর্থকরা। এরপর দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রাজ্য সড়কও অবরোধ করেন তাঁরা। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই স্থানীয় বাসিন্দারের সাথে তাঁদের বচসা বাঁধে। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন এক স্থানীয় বাসিন্দার গালে সপাটে চড় মারেন পশ্চিম বর্ধমান সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বামফ্রন্টের করা এই পথ অবরোধে থমকে যায় যানবাহন। ব্যাপক সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। আর এরপরেই নিত্যযাত্রীদের একাংশ পথ অবরোধের প্রতিবাদ করেন। তাকে কেন্দ্র করেই দুই পক্ষে তীব্র বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এমন সময় এক প্রতিবাদরত যাত্রিকে চড় মেরে বসেন পঙ্কজ রায় সরকার। তবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তাঁরা মধ্যস্থতা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এবিষয়ে অভিযুক্ত সিপিএম নেতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তাঁদের উদ্দেশ্য করে ওই ব্যক্তি অভব্য আচরন এবং কুমন্তব্য করছিলেন।
তবে শুধু দুর্গাপুরই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এদিন দেখা যায় বনধের ঝলক। রানিগঞ্জে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে মিছিল চলাকালীন জোর করে গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করে বাম কর্মীরা। যদিও পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা বিশেষ কিছুই করতে পারেনি বলে সূত্রের খবর।
অশান্তির চিত্র ধরা পড়েছে মালদার মানিকচকেও। সেখানেও জোর করে দোকান-পাট বন্ধ করানোর অভিযোগ উঠেছে বাম কর্মী, সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এদিন মানিকচকের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা, এমনটাই খবর সূত্রের। পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলীতেও এদিন দেখা গেছে একই চিত্র।