জোরপূর্বক জমি দখল করে স্টক করা হত গরু, প্রতিবাদ করতে গেলেই দেওয়া হত গাঁজা কেসের হুমকি
বীরভূমের পশুহাট থেকে পাচারকৃত গরু মুর্শিদাবাদ এনে স্টক করা হত বিভিন্ন জায়গায়
গরুপাচার কান্ডে (Cow Smuggling Case) একের পর এক জট খুলছে। জানা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদকে (Murshidabad) করিডোর হিসেবে ব্যবহার করা হত। বীরভূমের পশুহাট থেকে পাচারকৃত গরু মুর্শিদাবাদ এনে স্টক করা হত বিভিন্ন জায়গায়। তারপর অন্ধকার হলে তা পাঠানো হত বাংলাদেশে (Bangladesh)। জানা গিয়েছে, রঘুনাথগঞ্জের সেকেন্দ্রার নাম উঠছে স্টক শেল্টার হিসেবে।
সুত্রের খবর, কেবল পশুহাট নয় সাগরদীঘি হাট থেকে গরু আসত মুর্শিদাবাদে। জোরপূর্বক জমি জবরদখল করে বানানো হত স্টকপয়েন্ট। জমির মালিক বাঁধা দিতে এলে হুমকি দেওয়া হত, গাঁজা কেসে ফাঁসানো হবে বলে। লোহারপুরের রাস্তা ব্যবহার করে মুর্শিদাবাদ ঢোকা হত বলে খবর। এরপর রঘুনাথগঞ্জ থানার জরুর গ্ৰামেই বেশীরভাগ গরু স্টক করা হত। এখানে বাছাই করার পর বাছাইকৃত গরু রঘুনাথগঞ্জের উমরপুর মোড় হয়ে বাংলাদেশে পাচার হয়ে যেত। ভাগীরথীর সাগরদিঘি-ভাগীরথী ফেরিঘাট পার করে লালগোলা-ভগবানগোলায় চলে যেত। পাঁচ টাকার নোটে লেখা হত হিসেব।
কবির শেখ নামক এক জরুরের জমিমালিক বলেন, "আমার জমিতে আমাকে না জানিয়ে এসব কাজ চলত। কিছু বললেই গাঁজার কেস দেব, মদের কেস দেব বলা হত। আমরা চাষি মানুষ। তাই প্রাণের ভয়ে কিছু বলতে পারতাম না। আমার প্রায় চল্লিশ শতক মতো জায়গা ছিল। ওখানেই জোর করে গরু নামাত। আমাদের জরুরেরই লোক। ওদের নাম বুদ্দিন শেখ ও আলম। ওদের ভয়েই আমরা কিছু বলতে পারতাম না। চারশো-পাঁচশো গাড়ি করে এক একদিনে গরু আসত।"