প্রধান শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও নেই স্কুলের অস্তিত্ব, আজব ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরে
প্রধান শিক্ষক স্কুলের ঠিকানাতে গিয়ে তন্নতন্ন করে খুঁজলেও সেরকম কোন স্কুলের অস্তিত্ব খুঁজে পাইনি
রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি স্কুলে মাঝে মাঝে প্রধান শিক্ষক থাকে না। সেক্ষেত্রে সহকারি প্রধান শিক্ষক স্কুলের কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এবার ঘটলো ঠিক উল্টো ঘটনা। প্রধান শিক্ষক আছে কিন্তু সেই স্কুলের কোন অস্তিত্ব নেই! হ্যাঁ এমনটাই ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। তিন বছর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা গোপালচন্দ্র কুইলা প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং প্রথম পর্বে উর্ত্তীন্ন হয়ে প্রধান শিক্ষক হওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছিলেন। তার কাছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে ২০১৯ সালের ২১ আগস্ট প্রধান শিক্ষক হওয়ার নিয়োগপত্র আসে। সেই নিয়োগপত্রে তাকে ঝাড়গ্রামের মুরার আশুমুরার আশুতোষ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ হতে বলা হয়। কিন্তু গোপালবাবু স্কুলের ঠিকানাতে গিয়ে তন্নতন্ন করে খুঁজলেও সেরকম কোন স্কুলের অস্তিত্ব খুঁজে পাইনি।
স্বভাবতই স্কুল খুঁজে না পেয়ে তিনি বাধ্য হয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হন। একাধিকবার ঘটনাটি কমিশনের নজরে আনার পরও তিনি কোনো সদুত্তর পায়নি। তাই অবশেষে বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে তার মামলার শুনানি হয়। শুনানির পর বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, "আদৌ ওই নামের কোন স্কুল আছে নাকি তা অবিলম্বে জানাতে হবে কমিশনকে। আর যদি কোন স্কুল থাকে তাহলে সেখানে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে কিনা তারও রিপোর্ট দিতে হবে কমিশনকে।" এই মামলার পরবর্তী শুনানি আছে ১৮ জানুয়ারি।