সভা চলাকালীন বিশৃঙ্খলা, অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের পতন আসন্ন, দাবি দিলীপের
এদিন নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় ছড়াল উত্তেজনা। নন্দীগ্রামের সভায় হামলার অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। জানা গিয়েছে, এদিন তিনটি মঞ্চ তৈরি হয়েছিল। মূল মঞ্চের পাশে আরও দুটি মঞ্চ হয়েছিল। যারা বিজেপিতে যোগদান করবেন, তাঁদের থাকার কথা ছিল সেই মঞ্চে। সেই সময় খবর ছড়ায় আরও কিছু তৃণমূল বিধায়ক এই সভায় নাকি যোগদান করবেন। আর সেই নিয়েই আপত্তি তোলেন বিজেপি কর্মীরা। এরপরেই শুক্রবার সভা চলাকালীন সভামঞ্চের ডান দিকে উপস্থিত কর্মীদের লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ বিজেপির।
স্বাভাবিকভাবেই মঞ্চে উপস্থিত সকলের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। সাথেই, পাল্টা সাহস জুগিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "সবাই বাড়ি না পৌঁছনো পর্যন্ত আমি সভাস্থলে থাকছি।"
এই সভায় পর পর বক্তব্য রেখেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী। এদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, "নন্দীগ্রামে গুলিচালনার পর আদবাণীজির সঙ্গে প্রথম নন্দীগ্রামে ঢুকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই NDA-র সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তিনি।"
সাথেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, 'আসন্ন ভোটে তৃণমূল সরকারের পতন আসন্ন।' তিনি আরও যোগ করে বলেন, "তৃণমূলের এমন অবস্থা যে পুলিশ দিয়ে দলের নেতাকে বাড়িতে আটকে রাখতে হচ্ছে। পাছে বিজেপিতে যোগদান করে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্য সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে।"
তবে এরপরে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর সংক্ষিপ্ত বার্তায় বলেন, "আমি চাইবো সূর্য ডোবার আগে আপনারা সবাই বাড়ি চলে যান। আজ সভায় ইট মেরে সভা ভন্ডুল করার চেষ্টা হয়েছিল। আমি সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়েছি, কিন্তু সিপিএমও তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সভায় কোনওদিন ঢিল ছোড়েনি। ৪১টি শহিদ পরিবারের মধ্যে ৩০টি পরিবার আজ এখানে উপস্থিত রয়েছে।"
প্রসঙ্গত, গত ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই নন্দীগ্রামের ‘শহিদ’ পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা আছেন দাদার সঙ্গেই। এদিন সভায় হাজির হয়ে তাঁরা বুঝিয়ে দিলেন দল নয়, তাঁরা দাদার অনুগামী।