মর্মান্তিক! জল তেষ্টা পেয়েছিল, ঘরে কেউ নেই, জল ভেবে ডিজেল খেয়ে মৃত্যু হল একরত্তির
বর্ধমানের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া
বয়স মাত্র ১১ মাস। মা-বাবাকে দিনরাত ইটভাটায় কাজ করতে হয়। একমাত্র দাদাই এই একরত্তির খেলার সঙ্গী। কাজ ফেলে মাঝে মাঝেই মা ছুটে আসেন। বাবার তো আসার জো নেই। ঘরে কেউ নেই। জল ভেবে ডিজেল খেয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল একরত্তির।
ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) দেওয়ানদিঘি থানার মাহিনগরের। মৃতের নাম সর্জুন দেহরী। মৃতের বয়স মাত্র এগারো মাস। সর্জুনের দাদা ইটভাটা থেকেই পে-লোডারের একটি ডিজেলের কৌটো কুড়িয়ে এনেছিল। রেখেছিল বাড়িতে। ঘরে কেউ ছিল না। সেই ফাঁকে জল ভেবে সেই ডিজেল খেয়ে নেয় ছোট্ট সর্জুন। তারপরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক চেষ্টার পরেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
সর্জুনের পরিবার আদতে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। কাজের সন্ধানে এ রাজ্যে এসেছিলেন। গত একবছর ধরেই বর্ধমানের এই এলাকায় থাকতেন তাঁরা। কাজের জন্য সর্জুনের বাবা-মা দু'জনেই ব্যস্ত থাকতেন। ছোট্ট সর্জুনকে দেখভালের কেউ ছিল না। সর্জুনের দাদাই তার সঙ্গে থাকত। সর্জুনের দাদা না বুঝেই খেলাচ্ছলে সেই ডিজেলের কৌটো নিয়ে আসে। রেখেছিল ঘরের মধ্যে। সর্জুনের বাবা-মা জানতেন না যে তাঁদের অজান্তেই ঘরে ডিজেলের কৌটো রাখা আছে। আর যার থেকে এমন বিপত্তি নেমে আসতে পারে। এদিকে এই ঘটনার পর গোটা এলাকায় শোকের ছায়া। এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কেই-বা সহ্য করতে পারেন!