হবু জামাইয়ের পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর, 'উচিত শিক্ষা' দিলেন পাত্রী
কনের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই, হবু বর বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে
বিয়ের সব প্রস্তুতি শেষ। তৈরি মণ্ডপ, দুই বাড়িতে আত্মীয়ারা পৌঁছে গেছেন, চলছে বিয়ে নিয়ে রীতিমতো হইচই। রাত ফুরোলেই দুই হাত এক হবার পালা। এর মধ্যে আচমকাই বিয়েতে বেঁকে বসলেন কনে। নিজেই জানালেন, এমন লম্পট, বর্বর পাত্রকে বিয়ে করতে চান না কনে।
কারণ কী? বিয়ের আগের দিন মদ্যপ অবস্থায় হবু শ্বশুরবাড়িতে সটান হাজির হবু বর। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তো দেখে অবাক। এ কী কাণ্ড! অনেকেই ভেবেছেন আধুনিক জমানায় কত কীই তো হয়। হয়তো হবু বউকে একবার দেখতে এসেছেন। না, তা তো নয়। হবু বরের সে কী রণমূর্তি। আরও যৌতুক চাই। দিতে হবে বাইক। মুখে মদের গন্ধ। রীতিমতো তাণ্ডব চলল হবু শ্বশুরবাড়িতে।
কী করা যায়? অনেক বুঝিয়েও শান্ত করা যায় নি। অগত্যা পুলিশের দ্বারস্থ হতে হল। পুলিশ এল তুলে নিয়ে গেল। থানায় গিয়ে হবু বরের ভোলবদল। বিয়ে করতে চান। এদিকে পাত্রী তো বেঁকে বসেছেন। সজোরে প্রতিবাদ করে জানিয়ে দিলেন এমন লম্পট ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হলে জীবন বরবাদ। বিয়ের আগে এমন হলে বিয়ের পরিণতি স্পষ্ট বুঝতে পারছি। হবু কনেকে অনেকেই জানিয়েছেন সাধুবাদ। এমন কঠিন সিদ্ধান্তের জন্য তাঁকে বাহবা দিয়েছেন অনেকেই।
ঘটনাটি জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি এলাকার। ময়নাগুড়ির বার্নিস গ্রাম পঞ্চায়েতের মরিচবাড়ি এলাকার এক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে পলতাপাড়ার এক যুবকের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়েতে ছেলেপক্ষ নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং একটি মোটরবাইক দাবি করে। টাকা দিতে পারলেও বাইক দিতে অক্ষম কনের বাবা। কিন্তু তার পরিণতি যে এমন হবে কে তা জানত! বিয়ের আগের দিন মেয়ের বাড়িতে এসে মদ্যপ বরের তাণ্ডব দেখে থ এলাকাবাসী। তবে কনের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।