জাকির হোসেনকে লক্ষ্য করে বোমা, ভোররাতে এসএসকেএমে ভর্তি করা হল গুরুতর জখম মন্ত্রীকে
নিমতিতায় বোমাতঙ্কের ঘটনায় তৃণমূলকেই বিঁধেছে বাম-কং-বিজেপি
গতকাল রাত পৌনে দশটা নাগাদ মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনের কাছে মন্ত্রী জাকির হোসেনকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বাম পা ও ডান হাতে মারাত্মক জখম হয়েছে এবং এক হাতে ইতিমধ্যেই প্লাস্টার করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এসএসকেএমে ট্রান্সফার করলে ভোররাতেই তাকে আনা হয় কলকাতায়। আপাতত এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি আছেন জাকির হোসেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে তার হাড়ে ক্ষয় না হলেও ত্বক ও কোশের ক্ষতি হয়েছে। অপারেশন করে হাঁটুতে বিঁধে থাকা স্প্লিন্টার মেরামত হবে। দেহরক্ষী সুজন বিশ্বাসের শরীরেও স্প্লিন্টার আছে যার জন্য তারও অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। মন্ত্রীর সাথে থাকা আহত আরও ১৪ জন মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। আর এই ঘটনায় শাসকদলের দিকেই তোপ দেগেছেন বিরোধীরা। দিলীপ ঘোষ বলেন, "রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কোথায় গিয়েছে এতে বোঝা যায়। আগে শুধু বিরোধীদের ওপর আক্রমণ হতো। এখন শাসকদলের মন্ত্রীও ছাড় পাচ্ছেন না।" অধীর চৌধুরী স্পষ্ট জানান, "তৃণমূলের লুঠতরাজের রাজনীতিকে সমর্থন করতেন না জাকির হোসেন। গরুপাচারের বিরোধী ছিলেন তিনি। এমনকী পুলিশও তাঁকে পছন্দ করতো না। তাই যারা তৃণমূল ভাঙিয়ে খেত তাদের নিশানা হয়েছেন তিনি।" তদন্ত শুরু হয়েছে এবং এই ঘটনার পর কামরূপ এক্সপ্রেস, রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ও হাটেবাজারে এক্সপ্রেসকে রামপুরহাট দিয়ে ঘোরানো হবে।