"জয় শ্রীরাম" না বলায় নাবালকের দিকে গরম জল ছুঁড়ে মারধরের অভিযোগ বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে
ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায়
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার নির্বাচন ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রয়েছে আর ৩ দফা নির্বাচন। এইমুহূর্তে রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলার প্রান্তে প্রান্তে প্রচার চলছে। তবে এরমাঝে গতকাল অর্থাৎ সোমবার দুপুরে নদীয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায় দশ বছরের এক নাবালক "জয় শ্রীরাম" বলতে অস্বীকার করলে তার দিকে গরম জল ছিটিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ওই নাবালকের মা নেই এবং বাবা ঠিকঠাক কাজকর্ম করে না। তাই বাড়ি বাড়ি ঘুরে এই বয়সে তাকে খাবার জোগাড় করতে হয়। গতকাল দুপুরে ওই নাবালক একটি চায়ের দোকানে গিয়েছিল। চায়ের দোকানের মালিক মহাদেব প্রামাণিক ওই নাবালককে "জয় শ্রীরাম" বলতে বলেন। সে তা বলতে অস্বীকার করলে তার গায়ে গরম জল ঢেলে দেন। নাবালক প্রাণ বাঁচাতে একটি ইট ছুঁড়ে পালাতে গেলে দোকানদার তাকে ধরে বেধড়ক মারধর করে।
মারধরের কারণে ওই নাবালকের বমি শুরু হয়ে যায়। মারের আঘাতে সে অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে প্রথমে ফুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে আজকে তাকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই চায়ের দোকানের মালিক মহাদেব প্রামাণিকের স্ত্রী মিঠু প্রামানিক ওই এলাকার মহিলা মোর্চার সভাপতি। মহাদেব নিজে ওই অঞ্চলের বিজেপির একজন কার্যকর্তা বলে পরিচিত। উল্টে মিঠু প্রামানিক দাবি করেছেন, "ওই নাবালক দোকানের সামনে এসে খেলা হবে বলতে থাকে এবং দোকানের দিকে ইট ছুঁড়তে থাকে। তাই আমার স্বামী রেগে গিয়ে ওর গায়ে জল ঢেলে দেয় এবং তাড়া করে শুধু চড় মেরেছে।" নাবালককে মারধরের প্রতিবাদে সরব হয়েছে এলাকার মানুষ। সবাই মহাদেব প্রামাণিককে গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হয়েছে।