রামপুরহাট কাণ্ডে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল গঠন বিজেপির, রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা এই রামপুরহাট কাণ্ডে ৫ সদস্যের একটি 'সত্যতা যাচাই কমিটি' গড়েছেন
বিগত কিছুদিন ধরে খবরে থাকা বীরভূমের উত্তপ্ত রামপুরহাট-কাণ্ড খতিয়ে দেখতে এ বার পাঁচ সদস্যের কমিটি গড়ল কেন্দ্রীর দায়িত্বে থাকা ভারতীয় জনতা পার্টি । ভারতীয় জনতা পার্টি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার তত্ত্বাবধানে পাঁচজন সদস্য নিয়ে গড়া একটি কমিটি , তাঁর বক্তব্যে ‘সত্যতা যাচাই কমিটি’ গড়েছেন। কমিটির সদস্যেরা আগামী ২৫শে মার্চ শুক্রবার বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যাবেন পর্যবেক্ষণের জন্য। তাঁরা সেখান থেকে দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করে যত দ্রুত সম্ভব কেন্দ্রীয় ভারতীয় জনতা পার্টিকে রিপোর্ট জমা দেবেন।
জেপি নাড্ডা কর্তৃক গঠিত ওই কমিটিতে রয়েছেন রাজ্য বিজেপি-র মেরুদন্ড তথা সভাপতি শ্রী সুকান্ত মজুমদার মহাশয় । এ ছাড়া রয়েছেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম পরিচিত নারী মুখ শ্রীমতী ভারতী ঘোষ। আছেন যোগীরাজ্যের লোকসভা সাংসদ সত্যপাল সিংহ এবং রাজ্যসভার সাংসদ কেসি রমামূর্তি রয়েছেন বিজেপি-র উত্তরপ্রদেশের রাজ্যসভার অন্যতম চেনা মুখ ও সাংসদ ব্রজলাল। । উল্লেখ্য , সুকান্ত মজুমদার বাদে এই কমিটির বাকি চার সদস্যই প্রাক্তন ইণ্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস (আইএএস) কর্মরত অফিসার।
রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, তিনি এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন। বুধবার বিকেল নাগাদ কলকাতায় উপস্থিত হয়ে যাবেন তিনি । প্রাক্তন আইএএস অফিসার ভারতী ঘোষ এখন কলকাতাতেই রয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে থেকে কমিটির বাকি তিন সদস্য কলকাতায় এলে শুক্রবার সকালেই তাঁরা বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুইয়ে হাজির হবেন।
গতকাল বগটুইয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিচালনা নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের দিকে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। ইতিমধ্যে রামপুরহাটের বিশৃঙ্খল ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে রাজ্যে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে দরাস্ত হয়েছে রাজ্য বিজেপি। গত মঙ্গলবার সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসে গিয়ে হাজির হন এ রাজ্যের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিংহ এবং রাজু বিস্তা ও তাঁর সাথে দেখা করেন । রাজ্যে বগটুইয়ে অগ্নিদগ্ধ কাণ্ডে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁরা অমিত শাহের কাছে দরবার করেছিলেন । পরে সুকান্ত মজুমদার জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের কাছে এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছে। তার পর মূহুর্তেই প্রস্তাব এল ও সিদ্ধান্ত হল এই কমিটি গঠনের কথা ও তা সামনে এল।