সিএএ লাগু না হলে জীবন-মরণ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারের
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে 'ট্রাম্পকার্ড' ছিল সিএএ, ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, অভিমত ওয়াকিবহাল মহলের
রাজ্যে সিএএ (CAA) নিয়ে ফের সরব হতে দেখা গেল বিজেপি নেতৃত্বদের। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অন্যতম ইস্যু ছিল এই সিএএ বা এনআরসি। তবে একুশের নির্বাচনে বিজেপির ঢক্কানিনাদ স্তব্ধ হতেই সিএএ নিয়ে কিছুটা নীরবতা দেখা গেলেও ফের সুর চাড়া দিয়ে উঠছে। কখনও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলায়, কখনও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলায়। এবার হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারও চেনা সুর চড়ালেন।
একুশের নির্বাচনে মতুয়া ভোট বিজেপির জন্য বড় ভূমিকা পালন করেছিল, অভিমত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। সিএএ কিংবা এনআরসি দাবি নিয়ে বিজেপি বারবার দরবার করে এসেছে। এবার রাজ্যে তা লাগু না হলে সরাসরি আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। তিনি সাফ বলেছেন, "আমি আগেই বলে দিয়েছি, ২০২৪ সালের আগে যদি কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ লাগু করে উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব সুরক্ষার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে প্রত্যেকের সিটিজেনশিপ কার্ডের ব্যবস্থা না করেন, তাহলে আমি আপনাদের সঙ্গে করে জীবন-মরণ আন্দোলনের জন্য পথে নামব। সেই ভাবে আপনারা তৈরি থাকুন। হাজার হাজার শেয়ার করুন। সবাইকে জানিয়ে দিন।"
বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারের এমন বক্তব্যের পর বিজেপির অন্দরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নির্বাচনের আগে সিএএ কিংবা এনআরসি নিয়ে রাজনীতির পাশাখেলা চলতে থাকে, তবে বাস্তবে এই দুই ব্যবস্থার আদৌ প্রয়োগ হবে কী না তা নিয়ে সন্দিহান বিজেপির একাংশই। বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা বিভিন্ন সভায় এসব কথা বলে থাকেন, তবে নির্বাচন মিটে গেলে এসব নিয়ে কোন উদ্যোগ কি নেওয়া হয়? প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ। আর অসীম সরকারের এই মন্তব্যের পর ফের যে নতুন করে জল্পনা তৈরি হল, বলাই বাহুল্য।