অভাবনীয়! জ্বলাতঙ্ক রুখতে পথ-কুকুরদের জন্মনিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত সিউড়ি হাসপাতালে
তার পাশাপাশি বেশ কিছু পথ কুকুরকে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে হাসপাতাল সূত্রে
কুকুরদের মধ্যে জলাতঙ্ক রোগের ছড়িয়ে পড়াকে নিয়ন্ত্রন করতে এবারে উদ্যোগী হয়েছে বীরভূমের সিউড়ি প্রাণী হাসপাতাল। সিউড়ির রাস্তায় এবারে পথ-কুকুরদের এন্টি ৱ্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করা হলো সিউড়ি পশু হাসপাতালের তরফ থেকে। বীরভূমের সিউড়ির পশু হাসপাতাল এবং দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'নির্বাকন্ন' এবং 'হ্যান্ডস অফ লাভ'-র যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি, পথ-কুকুরদের জন্মহার নিয়ন্ত্রণের জন্যও একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল সিউড়িতে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, ওয়েস্ট ভেটেরনারি অ্যালুমনি অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি ডাক্তার শুভেন্দু সরকার, এআরডিএ-র ডেপুটি ডাইরেক্টর ডাক্তার তুহিন চক্রবর্তী এবং আরো অনেকে।
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই সকাল থেকে ৩০ এর উপরে কুকুরের স্টেরিলাইজেশন এবং ৩০০ কুকুরের ভ্যাক্সিনেশন হয়ে গিয়েছে এই পশু হাসপাতালে। পশু হাসপাতাল চত্বর ঘুরে দেখে বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী বলছেন, 'আজ আমি একেবারে একটা নতুন যুগ দেখলাম। সমাজে যারা সব থেকে অবহেলিত, তাদের তুলে এনে সেবা করা এমন একটি এনজিও ডাক্তার এবং মানুষের কাছে আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ।' তার পাশাপাশি বিধায়ক জানালেন, 'এই পশু হাসপাতালে কারেন্ট চলে গেলে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় ডাক্তার সহ সকলকেই। এই কারণেই আমি চাই যেন এখানে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি জেনারেটরের বন্দোবস্ত করা যায়।'
সাথেই, ওয়েস্ট ভেটেরনারি অ্যালুমনি অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি ডাক্তার শুভেন্দু হালদার বলেছেন, 'সামনেই এন্টি ৱ্যাবিস ডে। তার আগে, এই দিনটিকে মাথায় রেখে এরকম একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বাংলার সমস্ত জেলার মধ্যে বীরভূম চতুর্থ জেলা যেখানে এই বিশাল বড় কর্মযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। জলাতঙ্ক রোগ সবথেকে বেশি ছড়ায় এই পথ কুকুরদের থেকে। এই রোগ যাতে এত তাড়াতাড়ি না ছড়িয়ে পড়তে পারে, সেই কারণেই এই ভ্যাক্সিনেশন এবং স্টেরিলাইজেশন।' বলে রাখা ভালো, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখ এই এন্টি ৱ্যাবিস ডে পালিত হতে চলেছে। তার আগে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল সিউড়ি প্রশাসন।