Bharat Bandh: পরপর ২ দিন দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক, প্রথম দিনেই পথে বামপন্থী সংগঠনগুলি

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 28/03/2022   শেষ আপডেট: 28/03/2022 9:04 a.m.
https://www.facebook.com/RedVolunteersWB/

সকাল থেকেই বনধের সমর্থনে বাম কর্মীরা পথে নেমেছেন, চলছে বিক্ষোভ মিছিল

অতিমারী এবং সরকারের জনবিরোধী নীতির কারণে অর্থসংকট, মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যবৃদ্ধির মতো ঘটনা নিত্যসঙ্গী। এদিকে ক্রমাগত পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ার ফলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। পাশাপাশি কেন্দ্র সরকার বিভিন্ন লাভজনক সংস্থাকেও বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে। রেল, ব্যাঙ্ক, শিল্প ক্ষেত্রে বাড়ছে কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা। এই সকল দাবি নিয়ে দু'দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলি। ২৮ এবং ২৯ মার্চ দেশজুড়ে চলবে এই ধর্মঘট।

ধর্মঘটে (Strike) সামিল হয়েছে দেশের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলি। INTUC, HMS, CITU-সহ দেশের একাধিক সংগঠন এই ধর্মঘটে সামিল হয়েছে। ধর্মঘটের আওতায় দেশের শ্রমিক সংগঠনের আওতায় থাকা সড়ক, বিদ্যুৎকর্মী, ব্যাঙ্ককর্মীরাও এই ধর্মঘটে সামিল হবে। ক্রমাগত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে আজ উত্তাল থাকবে গোটা দেশ।

https://www.facebook.com/RedVolunteersWB/

এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বনধের (Bharat Bandh) প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিক্ষিপ্ত হলেও বিভিন্ন মোড়ে, গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বনধের সমর্থনে রীতিমতো জোরদার আন্দোলন শুরু করেছে সিপিএমের সংগঠনগুলি। কোচবিহারে বনধের সমর্থনে জ্বালানো হয় টায়ার। যদিও পুলিশ এসে কিছুক্ষণের মধ্যেই নিভিয়ে দেয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধের খবর এসেছে। এদিকে হুগলির শ্রীরামপুর রেল স্টেশন অবরোধের খবর এসেছে। এরফলে ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।

কলকাতার গোলপার্কে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল শুরু হয়। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বচসা। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করা হয়। যদিও পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের তুলে দেন। যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে সুলেখা পর্যন্ত মিছিল করেন ধর্মঘটীরা। বাম সমর্থিত এই ধর্মঘটের কথা, কেন্দ্রের মোদী সরকার এবং রাজ্যের দিদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। হাওড়ার কুলগাছিয়াতে রেল অবরোধ করা হয়। হাওড়ার ডোমজুড়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়।

দেশজুড়ে জারি দু'দিনের এই ধর্মঘটে সর্বাত্মক প্রভাব ফেলতে চাইছে বিভিন্ন সংগঠনগুলি। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এই বনধের বিরুদ্ধে কড়া জবাব দিয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফেও কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের আজ কাজে যোগ দেওয়া রীতিমতো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাস্তায় প্রচুর সরকারি বাস রেখে বনধের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার।