১১৯ বছরের প্রথায় ছেদ পড়তে চলেছে
বেলুড় মঠের দুর্গা পুজোর নিয়মে রদ-বদল ঘটতে চলেছে
করোনা ভাইরাসের অতিমারীর পরিস্থিতিতে এবার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রধান কার্য্যালয় বেলুড় মঠের অন্যতম বৃহৎ উৎসব দুর্গা পুজোর নিয়মে বেশ কিছু রদ-বদল ঘটতে চলেছে।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দজী জানান, এই অতিমারীর পরিস্থিতিতে বিজ্ঞান ও ধর্মের হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার সময়। তাই এ বছর পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দুর্গা পুজোর অনুষ্ঠানে কিছু বদল আনা হয়েছে।
- অন্যবারের তুলনায় এবার ছোট করা হবে প্রতিমার উচ্চতা।
- মহাঅষ্টমীর অন্যতম আকর্ষণ কুমারী পুজোও এবার স্থগিত রাখা হচ্ছে।
- আগের মতো গঙ্গার ধারের মাঠে সুবিশাল প্যান্ডেলের বদলে শ্রী রামকৃষ্ণদেবের নাটমন্দিরে পুজো অনুষ্ঠিত হবে।
- সকাল বেলা থেকেই যেখানে বহু ভক্ত সমাগম হত, সেখানে সকাল ৯ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে ভক্তরা কেবল মাতৃ প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন অর্থাৎ এবার সাধারণ ভক্তরা পুষ্পাঞ্জলি দিতে পারবেন না।
- মঠের তরফ থেকে যে কয়েক হাজার ভক্তদের মধ্যে ভোগ-প্রসাদ বিতরণ করা হয় তাও এবার বন্ধ রাখা হবে।
১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দের হাত ধরে যে দুর্গা পূজার সূচনা হয়েছিল এবং যেখানে স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন শ্রী শ্রী মা সারদা দেবী, সেই পুজোর মূল আদর্শই হল নর রুপী নারায়ণের সেবা। সেই শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যে এবার ছেদ পড়তে চলেছে।