ধারে মদ না পেয়ে দোকানদারকে এলোপাথাড়ি কোপ, বাঁকুড়ায় রাম-দা'র আঘাতে আক্রান্ত এক ব্যক্তি
ইতিমধ্যেই বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে
প্রথমবার নিজের টাকায় মদ কিনে খেলেও খুব একটা নেশা হয়নি। তাই দ্বিতীয়বার প্রয়োজন পড়েছে মদের। কিন্তু পকেটে টাকা নেই। অগত্যা, মদের দোকানে গিয়ে ধারে মদ চাইতে হলো। কিন্তু দোকানের কর্মী তা দিতে অস্বীকার করায়, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করলেন বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের এক যুবক। সোমবার দুপুরে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) বেলিয়াতোড় থানায় এলাকার বৃন্দাবনপুর এলাকায়। ইতিমধ্যেই আক্রান্তকে গুরুতর জখম অবস্থায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অন্যদিকে, গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগ থেকে গ্রেফতার করেছে বাঁকুড়া বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ।
বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় এর বৃন্দাবনপুর গ্রামের অদূরে ভাসাপুলের কাছে একটি বিলাতি মদের দোকান রয়েছে, যা এলাকায় এতদিন পর্যন্ত ছিল অত্যন্ত সুপরিচিত। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সেখান থেকেই সোমবার দুপুরে মদ কিনতে গিয়েছিলেন চায়ের দোকানদার ব্যবসায়ী প্রবীর মন্ডল। তবে কিছুক্ষণ বাদেই আবারো তাকে দেখা যায় ওই দোকানে আসতে। তার দাবি ছিল, প্রথমবার নেশাটা ভালো জমে নি। তাই আরো কিছুটা মদ লাগবে। টাকাটা পরে দেবে।
কিন্তু ওই মদের দোকানের কর্মী শীতল ঘোষ প্রবীরের ওই দাবি শুনতে নারাজ। টাকা পয়সা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বাক-বিতণ্ডাও হয় তাদের দু'জনের মধ্যে। অভিযোগ, এরপরই আচমকা মদের দোকানে ঢুকে পড়ে শীতলকে রামদা দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করেন প্রবীর। ঘাড় এবং গলায় মোট মিলিয়ে প্রায় ১২ টি কোপ মেরেছেন তিনি। শীতলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেখে তৎক্ষণাৎ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান প্রবীর।
এই ভয়ংকর ঘটনা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকে। স্থানীয়রা তৎক্ষণাৎ শীতলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে প্রবীরকে চিহ্নিত করে। পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, শীতল এবং প্রবীর দু'জনেই একে অপরের পূর্ব পরিচিত এবং দু'জনেই সাগ্রকাটা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তবে শুধুই কি মদ্যপানের জন্যই এই আক্রমণ, নাকি তাদের মধ্যে কোন পুরনো শত্রুতা রয়েছে, এই বিষয়টাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।