বহরমপুর জেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত বাংলাদেশী কয়েদির
বাংলাদেশের রানিবাঁধের চাঁদপুর জেলার বাসিন্দা ছিলেন ওই কয়েদি
বাংলাদেশের এক বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু হল বহরমপুর সংশোধনাগারে। বছর ৪২ এর ওই যুবককে মালদহ থেকে কয়েক মাস আগেই বহরমপুরে নিয়ে আসা হয়। বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কীভাবে এই মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিচারাধীন ওই বন্দির নাম সুকুম আলি কালু। বাংলাদেশের রানিবাঁধের চাঁদপুর জেলার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। গতকাল, বৃহস্পতিবার সকালে বুকে ব্যথা নিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। সংশোধনাগার সূত্রে খবর, ২০১৯ সাল থেকে সংশোধনাগারে ছিলেন সুকুম। বিদেশি সম্পর্কিত আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। এর আগে মালদহের জেলা সংশোধনাগারে ছিলেন তিনি। মাসকয়েক আগে মালদহ থেকে বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে স্থানান্তরিত করা হয়।
মনোবিদরা প্রসঙ্গক্রমে বলছেন, দীর্ঘদিন গারদের পিছনে থাকতে থাকতে বন্দিদেরও মনের উপর চাপ বাড়ে। মানসিকভাবে নানা সমস্যা তৈরি হয়, যা শরীরের উপরও চাপ বাড়ায়। সম্প্রতি সংশোধনাগারের হালহকিকত দেখতে বহরমপুর সংশোধনাগারে গিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটির একটি পর্যবেক্ষক দল। দেশের বিভিন্ন সংশোধনাগারের বন্দিদের দুরবস্থা নিয়ে একাধিক বার উষ্মা প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্ট। বহরমপুরে ৯-১০ জন বাংলাদেশি বন্দি রয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তাঁদের কী অবস্থা তারও খোঁজখবর নেওয়া হয় বুধবারই। এরইমধ্যে এই ঘটনা ঘটে যায়।