টেট পাশ না করেই চাকরি অনুব্রত কন্যার! মিলল ১৬.৯৭ কোটির হদিশ
সুকন্যার ফেসবুক প্রোফাইল অনুযায়ী ২০১৬ থেকে তিনি একই সঙ্গে দু’টি চাকরি করেন
পরেশ অধিকারীর মেয়ের পর এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়াল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও। তাঁর বিরুদ্ধে এবার হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন বিশিষ্ট আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। সুকন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, টেট পাশ না করেই চাকরি পেয়েছে সে। কেবল অনুব্রতর মেয়ে নয় তাঁর আরও পাঁচ আত্মীয়র বিরুদ্ধে রয়েছে টেট না পাশ করে চাকরির অভিযোগ। আগামীকাল সুকন্যা-সহ ৫ জনকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ‘না এলে কড়া ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বাড়ির কাছে কালিকাপুর প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন সুকন্যা। তাঁর বাড়ি থেকে মাত্র তিন মিনিট দূরত্ব, তাও স্কুলে যেতেন না তিনি। বরং তাঁকে সই করানোর জন্য হাজিরার রেজিস্টার পাঠানো হত সুকন্যার বাড়িতে, এমন অভিযোগও উঠছে। এদিকে সুকন্যার ফেসবুক প্রোফাইল অনুযায়ী ২০১৬ থেকে তিনি একই সঙ্গে দু’টি চাকরি করেন। একটি সরকারি স্কুলে ,অন্যটি বেসরকারি মিলে। এপ্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "উনি কবে চাকরি পেয়েছেন? উনি যে স্কুলে পড়ান তাই জানতাম না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।"
আজ বুধবার অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে জেরা করতে বীরভূমে নিচু পল্লীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই এর একটি দল কিন্তু সুকন্যা তদন্তে সহযোগিতা করতে গররাজি হন। এর ঠিক আগেই অনুব্রতর একাউন্টেন্টের সঙ্গে কথা বলে আধিকারিকেরা। দুপুরবেলা বোলপুরের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকে হানা দেয় সিবিআই। সেখান থেকেই হিসেব মেলে অনুব্রত মন্ডলের ১৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকার ফিক্সজ ডিপোজিট রয়েছে। বিকেলে সিবিআইয়ের দিল্লি দফতর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সুত্রের খবর, অ্যাকাউন্টগুলিতে লেনদেন বন্ধ (ফ্রিজ)-এর জন্য ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই বিপুল অঙ্কের টাকার পেছনে গোরুপাচারের সম্পর্ক আছে কিনা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।