খড়গপুরে হিরণ-দিলীপ কাজিয়া প্রকাশ্যে, দিলীপের ছবি থাকলেও হোর্ডিংয়ে নেই হিরণের ছবি
বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে একহাত নিয়েছে তৃণমূলও
পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে (Khargapur) বারবার প্রকাশ্যে চলে আসছে বিজেপি (BJP) সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এবং বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের (Hiran Chatterjee) মধ্যেকার দ্বন্ধ (conflict)। কিছুদিন আগেই কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন দুই নেতার অনুগামীরা। আবারও হোর্ডিংকে কেন্দ্র করে সম্মুখসমরে একই দলের দু’পক্ষ।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হওয়ার জন্য দিলীপ ঘোষকে অভিনন্দন জানিয়ে হোর্ডিং এবং পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে খড়গপুর সংসদ কার্যালয় সংলগ্ন অঞ্চল। অভিযোগ, সেই হোর্ডিংয়ে দিলীপ ছাড়াও অমিত শাহ্ (Amit Shah), জেপি নাড্ডা (J P Nadda), শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ছবি থাকলেও নেই স্থানীয় বিধায়ক হিরণের ছবি। আর এই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে আবারও সংঘাতে জড়িয়েছে দু’পক্ষ। যা দেখে খড়গপুরে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের স্পষ্ট প্রমান পাওয়া যাচ্ছে।
তবে এই ঘটনায় বিশেষ পাত্তা দিতে দেখা যায়নি দিলীপ ঘোষকে। তিনি বলেছেন, কে বা কারা সেই হোর্ডিংগুলি তৈরি করেছেন তা জানা যায়নি। সাথে তাঁর সংযুক্তি, যারা হোর্ডিং বানিয়েছেন তাঁরা তাঁদের পছন্দমাফিক নেতাদের হোর্ডিংয়ে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। হিরণকে কেন হোর্ডিংয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ দিলীপ। তবে হিরণও সম্মুখ সংঘাতে জড়াতে চাননি সদ্য সর্বভারতীয় সহ সভাপতির সঙ্গে। তাঁর কথায়, হোর্ডিংয়ে কার ছবি আছে বাঁ নেই, সে নিয়ে তিনি বিশেষ মাথা ঘামাতে চান না। বর্তমানে খড়গপুরে রেলের ৩০০ একর জমির উন্নতি নিয়েই ভাবতে চান তিনি। সাথে তিনি এও জানান, আপাতত খড়গপুর অঞ্চলে আদিবাসী বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ তৈরি করার চেষ্টাতেই ব্রতী তিনি। যদিও এর মাঝেও দিলীপবাবুকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তিনি। বলেছেন, ‘অনেকে সাংসদ তো ছিলেন। তাঁরা খড়গপুরের জন্য কিছুই করেননি’।
এদিকে দুই বিজেপি নেতার কোন্দলকে সুযোগ করে বিজেপিকে একহাত নিয়েছে তৃণমূল। এবিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রদীপ সরকারের কথায়, ‘এটা হওয়ারই ছিল। কারন, নির্বাচনের সময় হিরণ চট্টোপাধ্যায় অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে এখনও প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি। সে কারনে বিজেপি কর্মীরা সাধারন মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারছেন না। খড়গপুরে উন্নতি কিছুই হচ্ছে না। শুধু গোষ্ঠীদ্বন্ধই হচ্ছে’।