এসএসসির মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও মেলেনি চাকরি, প্রয়াত চাকরিপ্রার্থী
আর কত বঞ্চনা! প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের
না, মৃত্যুর আগে দেখে যাওয়া হল না তাঁর বেকারত্ব (Unemployment) দশা ঘুচেছে। অথচ দিনভর স্বপ্ন ছিল চাকরি করার। তিনি স্কুল শিক্ষিকা হবেন, পড়াবেন পড়ুয়াদের। নিজের জীবনের অপূর্ণতাগুলো ছুঁতে দেবেন না খুদে পড়ুয়াদের। কিন্তু তা আর হল না। শেষনিদ্রায় আর ঘরে ফেরা হল না। পাঁচ বছর আগে স্কুল সার্ভিস পরীক্ষার মেধা তালিকায় নাম উঠেছিল। কিন্তু শেষমেশ চাকরি হয়নি। চাকরিপ্রার্থীদের ধর্ণা মঞ্চে বারবার তাঁকে দেখা গেছে। সমস্ত হতাশা দূরে সরিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তিনি, তবে শেষরক্ষা হল না।
মালদার (Malda) মিঠু মন্ডল। পাঁচ বছর আগে স্কুল সার্ভিস পরীক্ষার (SSC) একাদশ দ্বাদশের মেধা তালিকায় নাম ছিল। মিঠুর বিষয় ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান। মেধা তালিকায় নাম থাকার পরও মেলেনি চাকরি। পরিবারের দাবি, চাকরি না পেয়ে দীর্ঘদিন হতাশায় ভুগছিলেন মিঠু। বাবা ছিলেন প্রাধমিকের শিক্ষক। বছর কয়েক আগে মারা গেছেন। ছয় বোনের সংসারে মিঠু বাড়ির ছোট মেয়ে। আগাগোড়াই প্রথম থেকে শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন মিঠু। কিন্তু অপেক্ষা করতে করতে হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। তবে মাস কয়েক অসুস্থ ছিলেন মিঠু। তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। আর শুক্রবার আচমকাই হার্ট অ্যাটাকের কারণে মিঠুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
যদিও চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের দাবি মিঠুর মৃত্যু হয়েছে ক্রমাগত বঞ্চনা থেকে। এম.এ, বি.এড করেও মেলেনি চাকরি। ২০১৬ স্কুল সার্ভিস একাদশ দ্বাদশের মেধা তালিকায় নাম ছিল মিঠুর। তারপরও চাকরি না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। মিঠু মন্ডলের বন্ধুরা জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিল মিঠু। স্কুল সার্ভিস পরীক্ষার একাদশ দ্বাদশের মেধা তালিকায় নাম থাকলেও সে ডাক পায়নি। এই নিয়ে বারবার হতাশা ঝরে পড়ত মিঠুর গলায়। ধর্মতলার ধর্ণা মঞ্চেও বহুবার মিঠুকে দেখা গেছে। চাকরি না পাওয়ার হতাশায় তার শরীর ভেঙে পড়ে। মিঠুর মৃত্যু একদিনের ঘটনা নয়, বরং দীর্ঘদিনের বঞ্চনা থেকেই মৃত্যু হয়েছে।