পুরভোটে এক টিকিটের দাম ১ লাখ, চাঞ্চল্যকর অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই চাপানউতোর
অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই বিজেপির অন্দরে তীব্র চাপানউতোর, বাড়ছে ক্ষোভ
পুরভোটে প্রার্থী পিছু এক লাখ। দাম নিয়ে আবার চলছে দর কষাকষি। গতকাল থেকেই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এমনই একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে (যদিও 'পরিদর্শক' এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি)। তারপর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। এক বিজেপি (BJP) নেতার সঙ্গে কথা বলছেন আর এক বিজেপি কর্মী। পুরভোটে টিকিট কনফার্ম নিয়ে চলছে দরাদরি। এমনকী রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নাম উল্লেখ করেই বলতে শোনা যাচ্ছে এত কমে সেটিং করা সম্ভব নয়। তার সঙ্গে ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তি নিজের জন্য ভালো ও সুনিশ্চিত সিট দাবি করেছেন। প্রত্যুত্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সেটিং করে তাকে পুরভোটের টিকিট দেওয়া হবে বলে জানাচ্ছে আর এক বিজেপি কর্মী। সব মিলিয়ে গতকাল থেকেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক ধরেই বিজেপির অন্দরে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় টুইটারে একের পর এক বোমা ফাটিয়ে চলেছেন। দিন কয়েক আগে বিজেপি নেতা তথাগত রায় এক টুইট বার্তায় বলেছিলেন, "৩ থেকে ৭৭ (এখন ৭০) গোছের আবোলতাবোল বুলিতে পার্টি পিছোবে, এগোবে না। অর্থ এবং নারীর চক্র থেকে দলকে টেনে বার করা অত্যাবশ্যক। দলের নবনিযুক্ত সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা - এঁরা দুজনে নেতৃত্ব দিন। পুরোনো চক্রে ফেঁসে থাকলে এখন যে পুরভোটের প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না এরকম অবস্থাই চলবে।" এর মধ্যেই এমন চাঞ্চল্যকর অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসায় ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই অডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে প্রীতম সরকার নামে এক বিজেপি নেতার সঙ্গে কথা বলছেন আর এক বিজেপি কর্মী। দেখা গেছে পুরভোটের টিকিট নিয়ে চলছে দরাদরি। প্রতি টিকিট পিছু ১ লক্ষ টাকার দাবি করা হয়েছে। এত কমে সম্ভব নয়, যেন রীতিমতো মাছ বাজারের দরাদরি। সূত্রের খবর, এই বিজেপি নেতা ইতিমধ্যেই কোন দলের কর্মসূচিতে থাকতে বারণ করা হয়েছে।
কে এই প্রীতম সরকার? সূত্র মারফত খবর, একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন তিনি। এমন চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে আসায় তাঁকে দলের সকল কর্মসূচি থেকে আপাতত দূরে থাকতে বলা হয়েছে। গত দিন কয়েক ধরেই বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় যেভাবে একের পর এক বোমা ফাটিয়ে চলেছেন, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সেই অভিযোগে কার্যত শিলমোহর দিলেন ওয়াকিবহাল মহল।